বেনাপোল বন্দরে কর্মবিরতী প্রত্যাহার, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল

0
209

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কাস্টমসের সমঝোতা বৈঠক হওয়ায় অনির্দিষ্ঠকালের কর্মবিরতি প্রত্যাহার হয়েছে। এতে সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দরের সকল ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সচল হয়েছে দু’দেশের (ভারত-বাংলাদেশ) আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
এর আগে ২ মার্চ, ভারত থেকে বন্ড লাইসেন্স(শুল্ক মুক্ত)’র মাধ্যমে আমদানিকৃত ডেনিম ফেব্রিক্সের ট্রাকে বিশেষভাবে লুকিয়ে আনা প্রায় অর্ধকোটি টাকার অবৈধ পণ্য শাড়ি, থ্রিপিছ, মদ, ফেনসিডিল, বিদেশি সিগারেট, ঔষধ, কারেন্ট জালসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য আটক করে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় গত বুধবার বেনাপোলের শিমুল ট্রেডিং এজেন্সি ও আইডিএস গ্রুপ নামে দুইটি সিএন্ডএফ লাইসেন্স সাময়িক বাতিল ও সিএন্ডএফের কর্মচারীদের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করে কাস্টম। যা বন্দরের সাধারণ ব্যবসায়ীসহ কর্মচারিরা মেনে নিতে পারেনি। হয়রানির অভিযোগ এনে অনির্দিষ্ঠকালের জন্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ সকল ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি পালন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান কর্মবিরতী প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রবিবার দিনভর কাস্টমসের সাথে বৈঠক হয় ব্যবসায়ীদের। পরে ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে আলোচনায় বসেন। বৈঠকে বৈধপথে মাদক চোরাচালন বন্ধে সকলের সহযোগীতায় চোরাচালান প্রতিরোধে একমত হয়েছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আশ^স্ত করেছেন ভারতীয় কোন ট্রাকে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করলে আগামীতে চালকের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রেও কাস্টমস তদারকি বাড়াবেন যাতে পণ্যবাহী ট্রাকের কেউ অবৈধ পণ্য উঠা, নামানো করতে না পারে। এছাড়া লাইসেন্স বাতিল ও মামলার বিষয়ে নতুন করে তদন্ত করবেন, যাতে নিরাপরাধী কোন ব্যবসায়ী হয়রানির শিকার না হয়। এমন ফল প্রসু আলোচনায় কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দর ও কাস্টমসের সকল ধরণের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক আব্দুল জলিল কর্মবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে টানা দুই দিন বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দু’দেশের দু’পাশে বিপুল পরিমানে পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছিল দুইদেশের ট্রাক। এখন বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় দ্রুত পণ্য খালাসে প্রশাসনের সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আক্তার ফারুক জানান, এ বন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের উপর সরকারের রাজস্ব আসে প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ কোটি টাকার। তবে গত দুই দিন ধরে পণ্য খালাস কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রাজস্ব আহরনে মারাত্বকভাবে ব্যহত হয়েছে। কর্মবিরতী প্রত্যাহার হওয়ায় ব্যবসায়ীরা সরকারের রাজস্ব পরিশোধ করতে শুরু করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here