খবর৭১ঃ সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে সবজি ও ভোজ্য তেলের দাম আরও বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ব্রয়লার মুরগি, আটা, ময়দা আলু ও পেঁয়াজের দাম। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, খিলক্ষেত বাজার, আজিমপুর কাঁচাবাজার ও হজ্জ ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধা কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে আলু, মুলা আর টমেটো বাদে বেশিরভাগ সবজি দাম ৪০ টাকার বেশি। প্রতি পিস মাঝারি আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০-৩৫ টাকা। শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। শসা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০, গাজর ৪০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকায়, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকায়, শালগম ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।
কেজিতে ১০ টাকা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায় গত সপ্তাহে যা ছিল ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা। সোনালী মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, লেয়ার ২২০ থেকে ২২৫, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫৩০ টাকা কেজি। গরুর মাংস কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৬০-৬০০, খাসির মাংস ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০-৯০০ টাকা কেজি।
আগের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। রুই ও কাতলা মাছ সর্বোচ্চ ৪৫০, টাকি ৩৫০, শোল ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা কেজি। নলা মাছ ২০০ ও চিংড়ি ৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আকারভেদে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা পযর্ন্ত।
কেজিতে ৩টাকা কমেছে আলুর দাম। বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০-২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, শুকনো মরিচ ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে।
অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, মাঝারি মানের চাল ৫০ থেকে ৫৬ টাকা, চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকা, খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা, প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৪০- ৪৫ টাকা। খোলা ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা এবং প্যাকেটজাত বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি।
বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকা, পাঁচ লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৮৫ থেকে ৮০০ টাকায়। বোতলজাত বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা, খোলা পাম অয়েল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১৩৮, পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩৮ থেকে ১৪২ টাকা লিটার।