মিজানুর রহমান মিলন
সৈয়দপুর :
মানুষ মানুষের জন্য এ প্রবাদ বাক্যটি আবারও প্রমাণিত হয়েছে ভূমি ও গৃহহীন অসহায় রিকশাভ্যান চালক মাহবুুুুুলকে (৪০) একটি নতুন ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান কিনে দেয়ার মাধ্যমে। মহান এ কাজটি হয়েছে ফেসবুক অ্যাকটিভিটিস গ্রুপ নীলফামারীর সৈয়দপুর সিটির এডমিন তামিম রহমানের মাধ্যমে। জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মাহাবুল (৪০)। সেখানে তাঁর বাপ-দাদার কোন ভিটেমাটি নেই। তাই নিজের জন্মস্থান ছেড়ে নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের বড়ুয়াহাট এলাকায় তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন।
সংসার চালাতে কিস্তিতে নেয়া একটি ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান চালিয়ে জীবন নির্বাহ করে আসছিলেন তিনি। সেটিই ছিল তাঁর সম্বল। কিন্তুু ওই রিকশাভ্যানটিও সৈয়দপুর শহর থেকে একদিন চুরি হয়ে যায়। সেটি হারিয়ে রিকশাভ্যান চালক মাহাবুলের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। একদিকে রিকশাভ্যানের ঋনের টাকা পরিশোধ, অপরদিকে সংসারের খরচ যোগাতে হিমশিম খায় সে। এর মধ্যেই ৫ বছর বয়সী তাঁর ছোট মেয়ে জান্নাতি বেগম এক দূর্ঘটনার শিকার হলে তার পায়ে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় তার পায়ে পচন ধরে। এ নিয়ে অনলাইন এ্যাকটিভিটিস গ্রুপ সৈয়দপুর সিটি’র মাধ্যমে ফেসবুকে জান্নাতিকে নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। একইসাথে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনও তাঁর চিকিৎসার জন্য ফেসবুকে আবেদন নিবেদন করে। এ অবস্থায় বিভিন্নজনের আথিক সহযোগিতায় চিকিৎসা করে জান্নাতির পায়ের ক্ষত শুকালেও এখনো সে ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারছে না। এরপর থেকে সৈয়দপুর সিটির এডমিন তামিম রহমানের উদ্যোগে সাড়া দিয়ে অনেকেই জান্নাতি বেগমসহ তার পরিবারকে আর্থিক করেন। পরবর্তিতে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহায়তা জান্নাতির বাবাকে নতুন একটি ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যান কিনে দেয়া হয়। সম্প্রতি সৈয়দপুর দর্পনের এডমিন আমির হোসেনের উপস্থিতিতে সোনারায় বড়ুয়াহাট এলকায় জান্নাতির নানার বাড়িতে গিয়ে নতুন ওই ব্যাটারিচালিত রিক্সাভ্যানটি তার পিতা মাহবুলের কাছে হস্তান্তর করেন সৈয়দপুর সিটির এডমিন তামিম রহমান।
রিক্সাভ্যান পেয়ে ভূমিহীন মাহবুল সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, মানবতার মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পূনর্বাসন করছেন। তাই তিনি সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাঁর একটি আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।