খবর৭১ঃ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে আইনটি সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করতে আইনটি করা হয়নি। এই আইন বাস্তবায়নের পর কিছু অপব্যবহার হয়েছে। এগুলো যাতে আর না হয়, সে জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে আইনটি সংশোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে আইনমন্ত্রী একথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বাস্তবায়নের পর আইনটি কিছু মিসইউজ ও কিছু অ্যাবিউজ হয়েছে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন, এগুলো যাতে না হয়, সারা পৃথিবীর যে বেস্ট প্র্যাকটিসেস, জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বেস্ট প্র্যাকটিসগুলো নির্ণয় করে সেগুলো আমাদের দেশের জন্য কতটুকু প্রয়োজন সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা আমরা হয়তো বিধি দিয়ে গ্রহণ করব। যদি প্রয়োজন হয় আইন কিছুটা সংশোধনও করা হবে।
আনিসুল হক বলেন, জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস অফিসের সঙ্গে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে দুইবার আলোচনা করেছি। তাদের অবহিত করা হয়েছে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তারা আমাদের তারিখ দিলে সেই তারিখ অনুযায়ী আমরা আলোচনায় বসতে রাজি আছি। এজন্য লেজিসলেটিভ বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি কমিটিও করা হয়েছে।
এসময় আইনমন্ত্রী জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে তা যেন মামলা হিসেবে গ্রহণ করা না হয় সেজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মামলা এলে সেটি যেন আইসিটি অ্যাক্ট অনুযায়ী সেলে পাঠানো হয়।
আনিসুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যমের কর্মী যারা, যারা সাংবাদিক তাদের যেন ইমিডিয়েটলি অ্যারেস্ট না করা হয়, সেটার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশনা দেওয়ার পর এখন কিন্তু এই আইনে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করাটা অনেকাংশে কমে গেছে।
ভূমির নিবন্ধন প্রক্রিয়া আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দিয়েছেন যে, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী যেখানে অনুশাসন দিয়েছেন, সেখানে এ বিষয়ে আলোচনার কোনো অবকাশ থাকতে পাবে না।