স্টাফ রিপোটার, বাগেরহাট: বাগেরহাটে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬ তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। জেলা বিএনপির আয়োজনে বুধবার বেলা ১১ টায় শহরের সরুই দলীয় কার্য্যলয়ে জন্ম বার্ষিকী পালন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক শেখ শমসের আলী মোহনের সভাপতিত্বে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্র পরিচালনা ও দেশ প্রেম নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে আলোচনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোজাফ্ফর রহমান আলম। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন পৌর বিএনপির সভাপতি শেখ শাহেদ আলী রবি, সাবেক জেলা বিএনপি-র সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক হাদীউজ্জামান হিরো, যুবদলের সাবেক সভাপতি মেহেবুবুল হক কিশোর, জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আলী সাদ্দাম দ্বীপ, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম স্বপন, মহিলা দল নেত্রী নার্গিস আক্তার ইভা, যুবদল নেতা জসিম সরদার, ওমর আলী মুন্না,মহিদুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নেয়ামুল কবির রাহুল প্রমুখ।
বক্তারা বাগেরহাটে চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বর্ননা করে বলেন, দেশে অঘোষিত একদলীয় স্বৈর শাসন চলছে। সবার উপর শোষন নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে সরকার। এমনকি নানাভাবে অত্যাচার নিপিরণসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি চালানো হচ্ছে। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালামসহ দলীয় শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বক্তারা এ সকল মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এভাবে আর চলতে দেওয়া যায়না। এখনই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। বিএনপির আন্দোলনের ভয়ে আওয়ামী লীগ আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। গত ১৩ জানুয়ারী বাগেরহাটের গোটাপাড়া ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে ক্ষমতাসিন আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষ করেছে। এ ঘটনায় আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে একাধিক মামলা করেছে। বক্তরা হুসিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, হামলা মামলা করে জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি কে দমিয়ে রাখা যাবে না। লুটপাট, দুর্নীতি করে এ দেশে কেহ রেহাই পায় নাই। আওয়ামী লীগ ও পাবে না। জনগনের অধিকার আদায়ে অনতিবিলম্বে বিএনপি জনগন কে সাথে নিয়ে রাজপথে আন্দোলন করবে। পরে দলীয় নেতাকর্মীরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের রুহের মাগফেরাত কামনা, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুস্থ্যতা কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আবুবক্কর।