খবর৭১ঃ আফগানিস্তানের নতুন শাসক দল তালেবান নতুন সেনাবাহিনী গঠন শুরু করেছে। গত বছরের আগস্টে ক্ষমতা নেওয়ার পর তালেবান সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ বাহিনী গঠন শুরু করে।
আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০০ সদস্যের বিশেষ বাহিনীর একটি ব্যাটেলিয়ন ইতোমধ্যে কাবুলে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষ করেছে।
তালেবান শাসিত ইসলামিক আমিরাত অব আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, বিশেষ এই ফোর্স নাইট ভিশন সুবিধা এবং লেজার রশ্নি পরিচালিত অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত। তারা কঠোর শারীরিক, মানসিক এবং আদর্শিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, উচ্চ ইসলামিক মূল্যবোধ, আফগানিস্তানের গর্ব এমন ব্যক্তিদের দ্বারা বিশেষ এই ফোর্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই বাহিনী নগর, মরুভূমি, পর্বতসহ সকল ধরনের আবহাওয়ায় খাপ খাওয়াতে অভ্যস্ত। শত্রুর যে কোনো আক্রমণ প্রতিহত এবং পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেও সক্ষম এই বাহিনী।
এদিকে আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সকল প্রদেশে তাদের বাহিনীর সদস্যদের এমন প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে। দ্রুত এই প্রশিক্ষণ শেষ হবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আফগানিস্তানের স্থানীয় আরেক গণমাধ্যম পাজহোকের খবরে বলা হয়েছে, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একটি ব্যাটেলিয়নকে সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে।
নতুন করে ক্ষমতা নেওয়ার পর তালেবান আফগানিস্তানের বিগত সরকারের সাড়ে তিন লাখ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীকে ভেঙে দেয়। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু তালেবান এখনো তাদের বাহিনীর পদ নির্ধারণ করা এবং নির্দিষ্ট সামরিক পোশাক দিতে সক্ষম হয়নি।