খবর৭১ঃ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ইংরেজি নতুন বছরের উদযাপন সীমিত আকারে করতে হচ্ছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশে এই উদযাপন ঘরোয়াভাবে করতে বলা হয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর রাতে রাজধানী ঢাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান করতে বলা হয়েছে। উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।
এই রাতে যা যা করা যাবে না সে বিষয়ে বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার) স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগরবাসীকে বিধিনিষেধ মেনে চলতে আহবান জানানো হয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর রাতে পট্কাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটর সাইকেল চালনাসহ যে কোনো ধরণের অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া নিম্নোক্ত নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে-
১। ঢাকা মহানগরের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায় এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরণের জমায়েত,সমাবেশ ওউৎসব করা যাবে না।
২। উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরণের অনুষ্ঠান, সমাবেশ, নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
৩। কোথাও কোনো ধরনের আতশবাজি ও পট্কা ফোটানো যাবে না।
৪। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাত ৬ টার পর বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত যানবাহন পরিচয় প্রদান সাপেক্ষে প্রবেশ করতে পারবে।
৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা/কর্মচারীরা ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮ টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় ফিরবেন। এর পরে প্রবেশের ক্ষেত্রে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।
৬। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না। তবে এই এলাকায় বসবাসরত সম্মানিত নাগরিকরা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
৭। একই সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সব নাগরিক বসবাস করেন না তাদেরকে বর্ণিত এলাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
৮। হাতিরঝিল এলাকায় সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে কোনো সমাবেশ বা অনুষ্ঠান করা যাবে না এবং কোনো যানবাহন থামিয়ে অথবা পার্কিং করে কেউ অবস্থান করতে পারবে না।
৯। গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদেরকে আজ রাত ৮টার মধ্যে স্ব-স্ব এলাকায় প্রত্যাবর্তনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
১০। আজ সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীর কোনো বার খোলা রাখা যাবে না।
১১। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করতে পারবে।
১২। আজ সন্ধ্যা ৬ টা থেকে আগামীকাল ভোর ৫ টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সম্মানিত নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে।
এসব শর্ত যারা না মানবে ডিএমপি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।