বঙ্গবন্ধু উন্নত দেশের আদলে কর্মমূখি শিক্ষা প্রবর্তনের পরিকল্পনা করেছিলেন: শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান

0
200

খবর ৭১: শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের শিক্ষা ভাবনা ছিলো নব্বই শতাংশ শিক্ষার্থীকে বৃত্তিমূলক শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসা। বঙ্গবন্ধু সিঙ্গাপুর জার্মানীসহ অন্যান্য উন্নত দেশের আদলে দেশে কর্মমূখি শিক্ষা প্রবর্তন করার পরিকল্পনা করেছিলেন। র্তমানে দেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী সাধারণ ধারায় শিক্ষা লাভ করে কর্মস্থানের পর্যাপ্ত সুযোগ পাচ্ছে না । তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের উপযোগি কর্মী তৈরি করতে বর্তমান সরকার কারিগরি শিক্ষা বিস্তার ও মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
উপমন্ত্রী বলেন দীর্ঘ দময় পর্যন্ত সস্তা শ্রমিক দিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান চলতে পারে নয়া। কর্মীদের দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়াতে তাদের দক্ষতা লেভেল বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য শিল্প মালকদের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আহ্ববান জানান তিনি।

তিনি আজ রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশন ও জার্মান উন্নয়ন সংস্থা এফইএস, বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশের কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন: জার্মানির অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা’ শীর্ষক পলিসি পেপার উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব একথা বলেন।

উপমন্ত্রী বলেন মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে কারিক্যুলাম পরিবর্তন, শিল্পের চাহিদা অনুসারে কার্যকর ও বিষয়ভিত্তিক কোর্সের সংখ্যা বাড়ানোসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।

তিনি আরো বলেন কারিগরি খাতে শিক্ষক কর্মচারির শুণ্য পদ পূরণ করে ব্যাপক সংখ্যায় নতুন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার কাজ এগিয়ে চলেছে।
অনুষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ হেলাল উদ্দিন এনডিসি বলেন, বর্তমানে ৬৪টি জেলায় সরকারের কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সরকার প্রথম ধাপে ১০০টি উপজেলায় এবং দ্বিতীয় ধাপে ৩২৯টি উপজেলায় তা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে বিদ্যমান সব কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান বজায় রাখতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে রেটিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, দেশে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও শিল্প মালিকদের চাহিদা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারিক্যুলামের মধ্যে দূরত্ব ঘুচিয়ে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, ইন্টার্নশীপ ও ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়ানো প্রয়োজন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here