খবর৭১ঃ চলমান এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের ‘সুযোগ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সেই সঙ্গে প্রশ্নফাঁসের ‘গুজবে কান না দিতে’ আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার ঢাকার একটি কেন্দ্র ঘুরে দেখার পর শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, প্রশ্নফাঁস কোথাও হবে না। তবে গুজব ছড়ানোর একটি চেষ্টা বরাবরের মতো আছে।
তিনি বলেন, মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নফাঁস করে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার অপচেষ্টা যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে এর চেয়ে কম কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। আমি অনুরোধ করব— সবাই যেন এ বিষয়ে সাবধান থাকে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে কেন্দ্রের বাইরে অভিভাবকদের ভিড় দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন দীপু মনি। তিনি বলেন, তারা যেখানে অপেক্ষা করছেন, সেখানে অনেক ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আমি আগেও অনুরোধ জানিয়েছি। তাদের অনুরোধ করব, যেখানেই থাকবেন, জটলা যেন না করেন।
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের যথাযথ মূল্যায়ন হবে কিনা— জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মূল্যায়নের নানা পদ্ধতি রয়েছে সারা বিশ্বে। লম্বা পরীক্ষা নিলেই মেধা যাচাই হবে তা নয়। অ্যাসাইনমেন্টসহ নানান কিছু করেছে এই শিক্ষার্থীরা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তারা কতটা শিখেছে, সেটিই বড় বিষয়।
এক মাসের মধ্যে এবারের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে আগামী বছর মে-জুনের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের পরীক্ষাও আগের ডেটে (ফেব্রুয়ারিতে) নেওয়া যাবে না। তবে এবারের মতো এত দেরি হবে না। কারণ সিলেবাস কমপ্লিট করতে তো সময় দিতে হবে।
সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনার চেষ্টার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে যতজনকে সম্ভব দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে, আমরা সহযোগিতা করছি। এসএসসি পরীক্ষা যারা দিচ্ছে, যেহেতু ঢাকায় টিকাদান চলছে- তাদের খুবই কম টিকা পেয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের যতদূর সম্ভব দেব, ঢাকার বাইরেও তারা টিকা পাবে। তবে টিকা ছাড়া কেউ পরীক্ষা দিতে পারবে না, এমন নয়।
নতুন শিক্ষাক্রমে জেএসসি পরীক্ষা থাকবে কিনা, জানতে চাইলে দীপু মনি বলেন, ওভাবে সেটি থাকবে না। তবে অবশ্যই মূল্যায়ন হবে। শিক্ষাক্রম চালু হলে মূল্যায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে।
কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।