খবর৭১ঃ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ অব্যাহত রয়েছে। দেড় বছরের বেশি সময়ে ভাইরাসটি বিশ্বের ৫১ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সাত হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষের।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল নাগাদ আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান-ভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য মতে, বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫১ লাখ চার হাজার ৩০ জন। আর এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ কোটি ৩২ লাখ তিন হাজার ৭৫৮ জন। সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়েছেন ২২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাত হাজার ১৮৮ জন। এর আগের দিন করোনায় মারা সাত হাজার ৪৭৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে পাঁচ লাখ চার হাজার ৭৮৯ জনের। এর আগের দিন করোনা শনাক্ত হয় হয়েছে হয়েছে পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার একজনের।
করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট সংক্রমিত হয়েছেন চার কোটি ৭৮ লাখ ৩৪ হাজার ৮১০ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছেন সাত লাখ ৮২ হাজার ৯৩৩ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে উঠেছেন তিন কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৩০৫ জন।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় তিন কোটি ৪৪ লাখ ১৪ হাজার ৬০৯ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে চার লাখ ৬২ হাজার ৮৯৩ জনের।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত হয়েছেন দুই কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৯৫০ জন এবং এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছে ছয় লাখ ১০ হাজার ৯৩৫ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে থাকা যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৯৪ লাখ ৮৭ হাজার ৩০২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৪২ হাজার ৬৭৮ জন।
পঞ্চম স্থানে থাকা রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। মারা গেছেন দুই লাখ ৫২ হাজার ৯২৬ জন।
আক্রান্তের তালিকায় তুরস্ক ষষ্ঠ, ফ্রান্স সপ্তম, ইরান অষ্টম, আর্জেন্টিনা নবম এবং স্পেন দশম অবস্থানে রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশে অবস্থান ৩০তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ভাইরাসটি শনাক্ত হতে থাকে দেশে। ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এই মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে।