খবর৭১ঃ মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো দমন অভিযানের মতো আরেকটি ‘দমনপীড়নের’ ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। বিদ্রোহীদের দমনে জান্তা সরকার এরই মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্য ও সেগাইন এলাকায় ভারী অস্ত্রসহ সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে গত শুক্রবার মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাঅপোর্টিয়ার টম অ্যান্ড্রুজ জানান, ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ হাজার হাজার সেনা দেশটির উত্তর ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে মোতায়েন করার খবর পেয়েছেন তিনি। অ্যান্ড্রুজ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মিয়ানমারের ওপর বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন। সেখানে দেশটিতে ফের বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি জানান, আমাদের সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। মিয়ানমারে আরও ব্যাপক নৃশংস অপরাধ ঘটতে পারে। তবে আমি আশা করব, আমার ধারণা যেন ভুল হয়।
অ্যান্ড্রুজ আরও বলেন, অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জান্তা সরকার সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধে জড়িত ছিল।
জাতিসংঘের বিশেষ র্যা পোর্টিয়ার বলেন, জান্তার এই পদক্ষেপ ২০১৬ ও ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার আগে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
২০১৭ সালে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্মূল অভিযানের মুখে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। ওই সময় গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে বলে ধারণা করছে জাতিসংঘ।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। সে সময় অং সান সুচিসহ তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে দেশটিতে জান্তা বিরোধী তুমুল বিক্ষোভ চলছে।