খবর৭১ঃ দেশে গত এক দিনে মহামারি করোনাভাইরাসে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ছয় জনের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে ৩ জন, খুলনা বিভাগে ১ জন, রাজশাহী বিভাগে ২ জন মারা গেছেন। অর্থাৎ সবসময় মৃত্যু ও সংক্রমণে শীর্ষে থাকা ঢাকা বিভাগে কারো মৃত্যু হয়নি করোনায়। বাকি চার বিভাগও আজ মৃত্যুহীন ছিল।
এর আগে সবশেষ ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা বিভাগ মৃত্যুহীন ছিল। গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর পর একদিনও মৃত্যুহীন ছিল না ঢাকা বিভাগ। দেশে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যু ২৭ হাজার ৭৯১ জনের, যার মধ্যে ১২ হাজার ১১৯ জন ঢাকা বিভাগের। অর্থাৎ মোট মৃত্যুর ৪৪ শতাংশ।
বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপপ্তর জানায়, গত এক দিনে ৩৬৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যাতে শনাক্তের হার এক দিনের ব্যবধানে ফের দুই শতাংশের নিচে নেমেছে। গতকাল শনাক্তের হার হয়েছিল ২.২০ শতাংশ। এর আগে সোমবার শনাক্তের হার ছিল ১.৮০ শতাংশ, রবিবার ছিল ১.৭৪ শতাংশ ও শনিবার ছিল ১.৮৮ শতাংশ।
এতে আরও বলা হয়, গত এক দিনে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৩৯৩ জনের। এ পর্যন্ত ১ কোটি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৪ জন, যাতে মোট শনাক্তের হার ১৫.৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৪ জন ও নারী ২ জন। ঢাকা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে কেউ মারা যায়নি।
এছাড়া গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ৪৮১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৫ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৯ জন।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর কয়েক মাস মৃত্যু ও শনাক্ত ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর গত বছরের শেষ দিকে এসে তা অনেকটা কমে যায়। চলতি বছরের প্রথম তিন মাস অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল করোনা পরিস্থিতি। তবে মার্চের শেষ দিক থেকে দেশে বাড়তে থাকে করোনার প্রকোপ। এটাকে বিশেষজ্ঞরা করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা বলে জানান।
গত এপ্রিল মাস থেকে বাড়তে থাকা করোনার প্রকোপ চরম আকার ধারণ করে জুলাইয়ে। এই মাসে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এছাড়া দিনে শনাক্তের সংখ্যাও ১৫ হাজার ছাড়ায়। তবে আগস্টের শেষ দিক থেকে করোনার প্রকোপ কমতে থাকে। সেপ্টেম্বর মাস পুরোটাই করোনার প্রকোপ নিম্নমুখী ছিল। অক্টোবরেও তা অব্যাহত রয়েছে।
দেশে করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সংস্থাটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে। যেকোনো সময় করোনা আবার জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলেও সতর্ক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।