খবর৭১ঃ ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং পরিবহন মালিকদের সঙ্গে ১৮ দফা বৈঠকের পর অবশেষে ১২০টি নতুন বাস নিয়ে চালু হচ্ছে ‘ঢাকা নগর পরিবহন’। বাস রুট রেশনালাইজেশনের এটিই প্রথম ধাপ। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলবে এই পরিবহন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৮তম সভা শেষে এই তথ্য জানান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
মেয়র তাপস বলেন, ‘আগামী ১ ডিসেম্বরে এই রুটে (কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত) বাস চলাচল শুরু হবে, এটা আমরা চূড়ান্ত করেছি। বাসগুলো জয়েন ভেঞ্চারের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। পরে পুরো ঢাকায় কয়েকটি কোম্পানির মাধ্যমে বাস চলবে।’
বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ও দক্ষিণ সিটি মেয়র শেখ তাপস জানান, প্রায় ২১ কিলোমিটারের এই রুটে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীদের ভাড়া গুণতে হবে দুই টাকা ২০ পয়সা।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত এক বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই বাস চালু হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘বিষয়টি অত্যন্ত জটিল ও দুরূহ ছিল। এখন আমরা লক্ষ্য পূরণের কাছাকাছি আছি। ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর একটি পাইলটিং রুট নির্ধারণ করেছি। এই রুটে নতুন নিয়ম এবং পদ্ধতিতে বাস চলবে। সবার প্রচেষ্টায় আমরা এতদূর আসতে পেরেছি।’
নতুন এই সার্ভিসে কোনো পুরোনো বাস থাকছে না জানিয়ে তাপস বলেন, ‘ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর রুটে পুরোনো বাস চলবে না। এখন এই রুটে যে বাসগুলো চলছে, সেগুলোর মধ্যে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারির পর কেনা বাস থাকবে। বাকি বাসগুলো উঠিয়ে নেওয়া হবে। এর সঙ্গে নতুন বাস যোগ হবে।’
এ বিষয়ে বাস মালিকরা সম্মতি দিয়েছেন বলেও জানান শেখ তাপস।
বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ১৮তম সভায় উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকায় গণপরিবহনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হচ্ছে। এর মাধ্যমে নগরে গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আসবে। চালকের মাঝে প্রতিযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকবে না।’
নতুন এই রুটে ৪০টির বেশি যাত্রী ছাউনি, ১৬টি বাস বে করা হয়েছে বলে জানান উত্তর সিটি মেয়র।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘জায়গা সংকটের কারণে বাস বে’র সংখ্যা বাড়ানো যাচ্ছে না। এছাড়া এই রুটের বাসগুলোর রঙ কী হবে, তা আগামী ১৪ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। পরে ২০ অক্টোবর বাসের রঙ নির্ধারণ করা হবে।’