মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ
সৈয়দপুরে কাল্লু (২৮) নামের এক মোটর মেকানিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় শহরের নিয়ামতপুর বাসটার্মিনালের অদূরে খালেক ফিলিং স্টেশনের সন্নিকটে একটি ফার্নিচারের গোডাউনের পিছনের পুকুরপাড় থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে রংপুরের সিআইডি’র ক্রাইম সিনের একটি দলও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা সৈয়দপুর থানা একটি মামলা হয়েছে।জানা যায়, ওই এলাকার ফার্নিচারের গোডাউনের পিছনে অবস্থিত একটি পুকুরের কেয়ারটেকার জলিল মাছের খাদ্য দিতে গিয়ে পুকুরপাড়ে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। খবর পেয়ে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মতিয়ার রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে গিযে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। কিছুক্ষণ পরেই রংপুর থেকে ছুটে আসে সিআইডির ক্রাইম সিনের একটি দল। তারাও সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন। রিপোর্টে মাথার পিছনে আঘাত এবং কান দিয়ে রক্ত বের হয় বলে উল্লেখ করা হয়। সেখান থেকে আলামত হিসাবে একটি ইট, গাঁজা কাটার সরঞ্জাম, সিগারেটের বেশ কয়েকটি শেষাংশসহ সিগারেটের খালি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রাখে। পরে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে মৃত কাল্লুর স্ত্রী আদুরী (২৪)সহ পরিবারের লোকজন লাশ শনাক্ত করে। মৃত কাল্লুর বাড়ি শহরের চামড়াগুদাম ক্যাম্প
এলাকায়। কাল্লুর স্ত্রী আদুরি জানান, গতকাল সোমবার সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় সে। সকাল ১০টার দিকে তার ফোনে (কাল্লু) দুইবার কল দেয়া হলেও রিসিভ করা হয়নি। পরে আবার ফোন দিলে তখন থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ মঙ্গলবার সকালে লোকমুখে তার স্বামী লাশ উদ্ধারের খবর পান। চামড়া গুদাম ক্যাম্পের অনেকেই জানান, কাল্লু মোটর মেকানিকের কাজ করতো। কাজের কারণে প্রায় ২/৩ দিন বাড়িতে আসতো না। তাদের ধারণা রাতে কোন এক সময় দূর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশ সেখানে ফেলে রাখে। জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খান লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।