ইবি প্রতিনিধি-
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) দিন-দুপুরে এক দরিদ্র শিক্ষার্থীর টাকা ছিনতাই করেছে ছাত্রলীগ। সোমবার দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হলে এ ঘটনা ঘটে। মারধরকারী ওই ছাত্রলীগ ক্যাডার হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের সাজিদুল ইসলাম সাজিদ এবং ভূক্তভাগী ওই শিক্ষার্থী বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের হাবিবুর রহমান হাবিব।
জানা যায়, হাবিব সাদ্দাম হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র। হলের ৩১৪ নং কক্ষে অবস্থান করত। জরুরী প্রয়োজনে কয়েকদিন বাড়িতে যায় হাবিব। এসময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের কর্মীরা তার সিট দখল করে নেয়। গত শুক্রবার হাবিব ক্যাম্পাসে ফিরে দেখে তার সিটে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে। হাবিব সিট দাবি করলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে ১৩৫ নং কক্ষে যেতে বলে। তাদের কথামত হাবিব ওই কক্ষে যায়। এসময় ৩১৪ নং কক্ষে তার মালামাল আনতে গেলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। পরে সোমবার দুপুরে হঠাৎ করেই তার ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এসময় তার টাকা, মোবাইলসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ছিনিয়ে নেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এক পর্যায়ে তাকে হল থেকে বের করে দেয় ছাত্রলীগ কর্মীরা।
ভূক্তভগি ওই শিক্ষার্থী জানান, সোমবার দুপুরে টিউশনির উদ্দেশ্যে রুম থেকে বের হই। এসময় সাজিদ, হিমেল চাকমা, আরিফ, জুবায়ের সহ ৬/৭ জন ছাত্রলীগ কর্মী আমাকে ঘিরে ধরে। এসময় আমাকে শিবির আখ্যা দিয়ে পাশের এক রুমের ভিতর নিয়ে লাঠি, বেল্ট দিয় উপর্যুপরি মারতে থাকে। তারা এলোপাথাড়ি চড়, থাপ্পড় দিয়ে আমার মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আমি সেগুলো ফেরত চাইলে আরো বেশি মারতে থাকে। এসময় আমার মানিব্যাগ থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ১৫০০ টাকা নিয়ে মানিব্যাগ ও মোবাইল ফিরিয় দেয়। কিন্তু টাকা ফেরত দেয়নি। তবে শিবিরের রাজনীতির সাথে কোনরুপ জাড়িত নয় বলে জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগর সভাপতি শাহিনুর রহমান বলন,“ছাত্রলীগের কেউ এধরনের কাজ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একাডেমিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করব।”
এ বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোঃ আশরাফুল আলমকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।