খবর৭১ঃ
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের স্বাক্ষরিত এক আদেশে আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ইউজিসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্ররা জানায়, গত রোববার দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন আগে থেকে কাঁচি হাতে পরীক্ষার হলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধরা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। এভাবে একে একে ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। এরপর পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের পরিবার তুলে গালিগালাজ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পরে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয়।
এ ঘটনার পর নাজমুল হাসান তুহিন (২৫) নামের এক ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গতকাল সোমবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তিনি এখন এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনাকে উদ্বেগজনক আখ্যায়িত করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। তিনি এ ঘটনায় অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে ঘটনাটি তদন্ত করে আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে ইউজিসির চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।