খবর৭১ঃ এক ম্যাচ হাতে রেখেই পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও শেষটা ভালো হলো না স্বাগতিক বাংলাদেশের। পঞ্চম এবং শেষ ম্যাচে সফররত নিউজিল্যান্ডের কাছে ২৭ রানে হেরেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬১ রান তুলে কিউইরা। জবাবে ২০ ওভারে খেলে ৭ উইকেটে ১৩৪ রানে থেমেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের ইনিংস।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১৬২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীরে সুস্থে করলেও নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অ্যাজাজ প্যাটেলের বলে ক্যাাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার লিটন দাস। আউট হওয়ার আগে করেন ১০ রান। পরের উইকেটে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪ রান করে ফেরেন সৌম্য সরকার। আর ওপেনার নাঈম শেখ আউট হয়েছেন ব্যক্তিগত ২৩ রানে। এদিকে মুশফিকুর রহিমের সংগ্রহ মাত্র ৩ রান।
এরপর পঞ্চম উইকেটে জুটিতে রিয়াদ-আফিফের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এ সময় জয়ের স্বপ্নই দেখছিল বাংলাদেশের সমর্থকরা। কিন্তু ৩৭ বলে দুজনের ৬৩ রানের জুটি থামলে আবারও ব্যাটিংয়ে ধস নামে। ফলে ম্যাচ আর জেতা হয়নি।
২১ বলে ২৩ রান করে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর ৪ রানে সোহান, ২ রানে শামীম এবং ৯ রানে তাসকিন আউট হন।
এদিকে ৪৬ রানে আফিফ এবং ৩ রানে নাসুম অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে দেখে-শুনে খেললেও দ্বিতীয় ওভার থেকেই মারমুখি ভঙ্গিতে ব্যাট করতে থাকেন দুই কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন এবং রাচিন রবিন্দ্রো। ওপেনিং জুটিতে মাত্র ৩৪ বল খেলে দুজন মিলে তুলেন ৫৮ রান।
এরপর শরিফুল ইসলামের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাচিন। আউট হওয়ার আগে করেন ১৭ রান। পরেই বলেই এলবির ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন। তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি।
অবশ্য শরিফুল তাকে বেশক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেননি। ওভারের শেষ বলে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়েছেন। মাত্র ২৪ বল খেলে দ্রুত ৪১ রান তুলেন অ্যালেন। পরের উইকেটে ব্যাট করতে আসা উইং করেন মাত্র ৬ রান। আর নাসুমের বলে শামীমের হাতে ক্যাচ তুলে দেয়ার আগে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের সংগ্রহ ৯ রান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে অধিনায়ক টম লাথামকে সঙ্গ দিয়ে দলীয় স্কোর কিছুটা বাড়িয়ে নেন হেনরি নিকোলস। আউট হওয়ার আগে করেন ২০ রান।
এদিকে শেষ পর্যন্ত খেলে ব্যক্তিগত অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। ৩৮ বল খেলে করেছেন ৫৫ রান। আর ১৫ রানে অপিরাজিত থাকেন কল ম্যাককোনচি।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন আফিফ হোসেন, নাসুম আহমেদ এবং তাসকিন আহমেদ।