খবর৭১ঃ তালেবানের চূড়ান্ত দখলের বিরুদ্ধে তুমুল যুদ্ধ চলছে আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকায়। এর ফলে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে পাঞ্জশিরের ভাগ্য।
তালেবানের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, পাঞ্জশির তারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তবে তালেবান প্রতিরোধ বাহিনী এ দাবি অস্বীকার করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
তালেবান প্রতিরোধের একজন নেতা আমরুল্লাহ সালেহ তার পালিয়ে যাওয়া দাবি অস্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক ছিল।
পাঞ্চশিরে যুদ্ধে কয়েকশ মানুষ মারা গেছে বলে প্রতিবেদনে জানা গেছে।
এদিকে কাবুলসহ কয়েকটি শহরে তালেবানের বিজয় উদযাপনে গুলিতে বেশ কিছু মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন।
রাজধানী কাবুলের পূর্বদিকে পাঞ্জশির উপত্যকা অবস্থিত। এটি আফগানিস্তানের ছোট একটি প্রদেশ এবং এই প্রদেশটি তালেবানের কাছে আত্মসমর্পন করেনি।
বিবিসি জানিয়েছে, তালেবানবিরোধী এ প্রদেশটিতে দেড় থেকে দুই লাখ মানুষের বসতি। এটি পাহাড়ের পেছনে অবস্থিত।
তালেবান প্রতিরোধ বাহিনীতে সাবেক আফগান সেনা সদস্য এবং স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন আহমেদ মাসুদ। তার বাবা ১৯৮০ এর দশকে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং ৯০ এর দশকে তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন।
এদিকে বিবিসিকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় আফগানিস্তানের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, এখানে দুই পক্ষের লোকজনই হতাহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সন্দেহ নেই যে, আমরা একটি কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। আমরা তালেবানের আক্রমণের মধ্যে রয়েছি।
‘আমরা আত্মসমর্পন করব না। আমরা আফগানিস্তানের পক্ষে দাঁড়িয়েছি।
তিনি বলেন, তার দেশ ছাড়ার যে সংবাদটি জনসাধারণের মধ্যে ছড়ানো হয়েছে, সেটি মিথ্যা। তবে বিবিসি সালেহর অবস্থানের বিষয়টি স্বতন্ত্রভাবে খোঁজ নিতে অসমর্থ হয়েছে।
ন্যাশনাল রেসিসট্যান্স ফ্রন্টের (এনআরএফ) মুখপাত্র আলি নাজারি বিবিসিকে বলেন, বিদ্রোহীরা তালেবানকে পেছনে যেতে বাধ্য করেছে।
তিনি বলেন, কয়েকশ তালেবান আটকা পড়েছে। তাদের অস্ত্রশস্ত্র ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং এই মুহূর্তে তারা আত্মসমর্পণের শর্তাবলী নিয়ে আলোচনা করছে।
তবে তালেবানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করা হয়, তারা পাঞ্জশিরে জয়লাভ করেছে। তালেবানের এক কমান্ডার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া। আমরা এখন পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি। সমস্যাকারীরা পরাজিত হয়েছে এবং পাঞ্জশির আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।