খবর৭১ঃ দেশে বেসরকারি গেজেটধারী ১০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। ২০০২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত গেজেটধারীদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এ পর্বে ভোলা ৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরন্নবী চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রীর কাছে জানতে চান- এর আগে সরকারের পক্ষ থেকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করার যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো তার কতদুর অগ্রগতি হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, সে বিষয়েও মন্ত্রণালয়ের নেয়া উদ্যোগগুলো জানতে চান।
জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে গেজেটধারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১ লাখ ৮৩ হাজার ৫৬০ জন। ২০০২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত যাদের নামে বেসরকারি গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে, সে সনদগুলো যাচাই বাছাই করে ১০ হাজার সনদ বাতিল করা হয়েছে। নতুন যাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এবং যাদের নামে অভিযোগ আছে, তাদের সনদ যাচাই করে বাতিল করার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী।
পৃথক এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর এক হাজার ৭শ’ সদস্যকে সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রুপা দিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি থাকছে তাদের দেয়া ক্রেস্টগুলোতে। এখন পর্যন্ত ১৩টি পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মাননা জানানো হয়েছে। বাকি ১,৬৮৭টি ক্রেস্ট সিলগালা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে সংরক্ষিত আছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের হাতে ক্রেস্টগুলো পৌঁছে দেয়া হবে।
অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী জানান, কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬০৫ জন, ভুরুঙ্গামারি উপজেলায় এ সংখ্যা ৮৫৪ জন।