খবর৭১ঃ আগামী ১৯ জুলাই এর মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসসহ সকল পাওনা পরিশোধে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। তিনি বলেন, ঈদের সরকারি ছুটির সাথে মিলিয়ে গার্মেন্টসসহ সকল শিল্প সেক্টরের শ্রমিকদের বদলি ছুটি পাওনা থাকলে কারখানা পর্যায়ে মালিক-শ্রমিক সমন্ময় করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি আজ রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসি’র সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণটিকার আওতায় ৩৫ বছর বা তদুর্ধ বয়সের শ্রমিকদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই ৩৫ বছরের কম বয়স্ক শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকার ব্যবস্থা করা হবে। সভায় উপস্থিত মালিক প্রতিনিধিগণ জানিয়েছেন প্রায় শতভাগ কারখানার শ্রমিকদের গত জুন মাসের বেতন পরিশোধ হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ঈদে মানুষের যাতায়াত, কোরবানী কেনাবেচা নির্বিঘ্ন করতে আগামী ১৫ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পযর্ন্ত কঠোর বিধিনিষেধ সিথিল করেছে। তাই বলে গাদাগাদি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল না করতে শ্রমিকদের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন সকলে কষ্ট করে হলেও মাস্ক পরুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। এতে আপনি যেমন নিরাপদে থাকবেন, আপনার পরিবার পরিজন নিরাপদ থাকবে, দেশ নিরাপদে থাকবে।
সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান বলেন, ছুটির বিষয়ে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মালিকগণ বেতন বোনাস দিয়ে দিবেন বলে আশা করেন। তিনি মালিক -শ্রমিকদের স্বার্থেই টেড ইউনিয়ন দেয়ার বিষয়ে মালিকদের উদার হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সহসভাপতি মো. নাছির উদ্দিন, বিকেএমইএ এর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল এর সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনি, নাজমা আক্তারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বিভাগ সংস্থার কর্মকর্তা, মালিক-শ্রমিকপ্রতিনিধি অংশ গ্রহন করেন।