খবর৭১ঃ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে ধসে যাওয়া বহুতল ভবনটির ধ্বংসস্তূপ থেকে শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে এক দমকল বাহিনীর কর্মীর ৭ বছর বয়সি মেয়েসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২ জনে দাঁড়িয়েছে।এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া ১২৬ জনের খোঁজ মেলেনি। খবর বিবিসির।
ভবনধসের নবম দিনে শুক্রবার উদ্ধার অভিযানে এ দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। আটকেপড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশায় প্রথম থেকে অত্যন্ত সাবধানে চলে উদ্ধার অভিযান।
এনিয়ে এখন পর্যন্ত ৩ শিশুর লাশ উদ্ধার হলো। এর আগে গত বুধবার লুসিয়া গারা (৪) এবং এমা গারা (১০) নামে দুই বোনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মিয়ামি-ডেডের দমকল বাহিনীর প্রধান অ্যালান কমিনস্কি বলেছেন, এ অবস্থায় উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন কাজ।
জীবত উদ্ধারের আশায় অত্যন্ত শতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের।
উদ্ধারকারী দলগুলো শুক্রবার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান চালিয়েও কাউকে জীবিত উদ্ধার করতে পারেনি।
মিয়ামির সাগর তীরবর্তী সার্ফসাইড এলাকায় চ্যামপ্লেইন টাওয়ার্স সাউথ নামের ১৫৬ ইউনিটের ১২ তলা অ্যাপার্টমেন্টের বড় একটি অংশ স্থানীয় সময় গত ২৪ জুন ধসে পড়ে। ঘটনার সময় ভবনটির অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন।
কী কারণে ভবনটির একটি অংশ ধসে পড়ল তা পরিষ্কার হয়নি। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রকৌশলীদের একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনে ৪০ বছরের পুরনো ভবনটির আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং গ্যারেজে কাঠামোগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।
১৯৮১ সালে নির্মিত এ ভবনটিতে সংস্কারকাজ চলছিল বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভবনটির নিখোঁজ বাসিন্দাদের জীবিত উদ্ধারের আশাও ক্ষীণ হয়ে আসছে।
ভবনের তলাগুলো ধসে পড়ে কেকের স্তরের মতো একটি ওপর আরেকটি স্তূপকৃত হয়ে আছে। ওই ধ্বংসস্তূপ সরালে ভেতরে চাপা পড়া অনেক মৃতদেহ মিলবে বলে উদ্ধারকর্মীদের ধারণা।
কর্মকর্তারা জানান, স্তূপকৃত তলাগুলোর ফাঁকফোকরে বাতাস আছে এমন কোনো জায়গায় উদ্ধারকারীরা জীবিত কাউকে খুঁজে পেতে পারেন এমন আশা এখনও আছে।
স্থানীয় দমকল বাহিনীর প্রধান অ্যালান কমিনস্কি বলেন, এখানে পরিস্থিতি খুবই জটিল, তার পরও আমরা আশা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
কুকুর, ক্যামেরা, সোনার, ইনফ্রারেড স্ক্যানার ও ভারি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপে খুঁজে দেখছেন, ভেতরে জীবিত কারও উপস্থিতি পাওয়া যায় কিনা।