যে নিয়মে ঘুমালে ত্বক উজ্জ্বল হয়

0
282

খবর৭১ঃ
ত্বক নিয়ে সবাই সচেতন। ত্বকের যতই যত্ন করুন না কেন, তা কাজে আসতে গেলে কতগুলো বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা ঘুমানোর সময় কী ভাবে ঘুমাচ্ছে তার উপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। কেন আপনার ত্বক খারাপ হয়ে পড়ছে তা না বুঝেই আপনি যত্ন নিতে শুরু করেন তাহলে আপানর ত্বক আরও রুক্ষ হয়ে পড়তে পারে!

রাতে ভুলভাবে ঘুমানোর কারণে ত্বকে সমস্যা হতে পারে। সুন্দর ত্বকের জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম। আবার সঠিকভাবে না ঘুমালে চোখ ফুলে যেতে পারে। হতে পারে ব্রণ, পড়তে পারে বলিরেখা। ভালো ঘুম সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য অনেক জরুরী। তবে এই ঘুমেই হতে পারে উল্টো পতিক্রিয়া। ঘুমের অবস্থান ঠিক না হলে স্কিনে ব্রণ, রিংকেলের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ঘুমের অবস্থানের কারণে আমাদের চেহারায় ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে।

মনে রাখা দরকার, আমরা যেমন শ্বাস নিই, ঠিক তেমনি ত্বকেরও শ্বাস নিতে হবে এবং ঘুমেন কিছু অবস্থান এটি বাধা দিতে পারে। ঘুমের অবস্থান কীভাবে ত্বককে প্রভাবিত করে তার কয়েকটা নমুনা রইল।

অনেকের বালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস আছে। সোজা হয়ে পিঠের উপর ভর দিয়ে ঘুমানো সর্বদা ঘুমের জন্য ভাল অবস্থান হিসাবে বিবেচিত হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই পাশ ফিরে বা পেটে চাপ দিয়ে ঘুমোতে পছন্দ করেন, যা অবশেষে তাদের মুখের একপাশে বালিশে ঠেলে দেয়।

কখনও কখনও, এই কারণে ফুসকুড়ি হতে পারে। এর থেকে মুক্তি পেতে বালিশের কভার ব্যবহার করা নিরাপদ, যার ফলে বালিশের ব্যাকটেরিয়া ত্বকে পৌঁছাতে পারে না।

সোজা হয়ে ঘুমানো ঘুমের সেরা অবস্থান হিসাবে বিবেচিত, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের, এর ফলে ত্বককে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় এবং উপযুক্ত সঞ্চালনের অনুমতি দেয়। বালিশকে স্পর্শ না করার জন্যে তেল, ময়লা এবং কুঁকড়ানো বিনিময়কে এড়িয়ে চলবে। এটি ত্বকের জ্বালা রোধেও সহায়তা করবে।

আপনার পেটের উপর চাপ দিয়ে ঘুম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেই পাশফিরে এইভাবে ঘুমোন তবে ত্বক শ্বাস নেওয়ার জায়গা না পাওয়ায় এটি ক্ষতিকর। ত্বকেরও খুব শ্বাস নেওয়া দরকার এবং বালিশে মুখ চেপে ঘুমালে ত্বক শ্বাস নেওয়ার কোনও জায়গা পায় না। এছাড়াও, এই অবস্থানটি ত্বকে খুব বেশি সঞ্চালনের অনুমতি দেয় না। এটি চোখের নীচে এবং অন্যান্য সমস্যাগুলোর মধ্যেও আটকে থাকা ছিদ্র তৈরি করতে পারে। ঘুমের এই অবস্থানটি এড়ানো ভাল।

উপুড় হয়ে শুলে সবচেয়ে বেশি বিপদ। অস্থিসন্ধি ও পেশির ওপর চাপ পড়ে। শরীরে ব্যথা বাড়ে, অসাড় হয়ে যেতে পারে শরীর। স্বাভাবিক রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। এই অভ্যাসের ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার উপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। যার ফলে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে এবং আপনার সামান্য সময়ের আরাম আপনাকে ভবিষ্যতে অনেক অসুবিধার মুখে ফেলতে পারে। সেটি মাথায় রাখতেই হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here