খবর৭১ঃ রাজধানীর গুলশানে একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ব্যবসায়ী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধারের পর রাতেই ওই তরুণীর বোন বাদী হয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে এ মামলা করেছেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান জোনের উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী। মৃত ওই তরুণীর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় বলে জানা গেছে।
তিনি জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় গুলশান২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীর ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ আলামত সংগ্রহ করেছে।
মামলার বরাত দিয়ে উপকমিশনার বলেন, মেয়েটির সঙ্গে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডির সম্পর্ক দুই বছরের। এমডি এক বছর মেয়েটিকে বনানীর ফ্ল্যাটে রাখেন। পরে মনোমালিন্য হলে মেয়েটি কুমিল্লায় চলে যায়। তবে গেল মার্চ মাসে ঢাকায় এসে গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন।
উপকমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, গুলশানের ওই বাসায় গত ২৩ এপ্রিল একটি ইফতার পার্টি হয়। ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে ওই এমডির মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে জানান, যেকোনও মুহূর্তে তারা যেকোনও ঘটনা ঘটতে পারে।
এরপরই সোমবার বিকেলে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন ওই তরুণীর বোন। তবে গুলশানের ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান তিনি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শোবার ঘরে তরুণীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
সাক্ষ্যপ্রমাণ হাতে এলে ওই এমডির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, মামলাটির তদন্ত করছেন গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ঘটনাস্থল তেকে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ বিশ্লেষণ করার মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আসবে।
উপকমিশনার আরও জানান, চুক্তিপত্র অনুযায়ী ওই ফ্ল্যাটটির মাসিক ভাড়া ১ লাখ টাকা। সেখানে অগ্রিম দেয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা। এরইমধ্যে দুই মাসের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে।