খবর ৭১: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস হিসেবে ২৬ মার্চ আমাদের কাছে আত্মত্যাগ ও গর্বের এক দিন। ২০২১ সালে গৌরবময় সেই দিনের এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর সম্পন্ন হয়েছে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে আত্মপরিচয় অর্জনের এই দিনের কথা স্মরণ করে সকল বাঙালি স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে উঠে।
এমন চেতনা যুব সমাজের মাঝে ছড়িয়ে তাদের এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি অলাভজনক যুব সংগঠন ওয়াইএসএসই। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য মূলত শক্তিশালী যুব নেতৃত্ব ও উদ্যোক্তাদের বিকাশ, এছাড়াও সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলি সমাধান করার পাশাপাশি সমাজে অর্থনৈতিক ও লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে কাজ করা।
ইয়ুথ স্কুল ফর সোশ্যাল এন্টারপ্রেনারস (ওয়াইএসএসই) স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে “লাল সবুজের মুক্তি” শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পরাধীনতার শৃঙ্খলকে অস্বীকার করে রক্তের দামে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনার গৌরবময় ইতিহাস এবং মহান স্বাধীনতার চেতনাকে তারুণ্যের মাঝে ধরে রাখতে তরুণদের সংগঠন YSSE আয়োজন করেছিল এই “লাল সবুজের মুক্তি” অনুষ্ঠানটি। এই আয়োজনে ছিল স্বাধীনতা বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, স্বাধীনতার ক্যানভাস (ডিজিটাল আর্ট, ফটোগ্রাফি এবং চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা) এবং ভার্চুয়াল সেশন।
২৬ মার্চ এর ভার্চুয়াল সেশনে প্যানেল ডিসকাশন, লাইভ কুইজ শো, বিজয়ীদের নাম ঘোষণা সহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী। তিনি একাত্তরের সেই রোমাঞ্চকর দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করার পাশাপাশি সেই দিনগুলো থেকে আজকের তরুণদের কী কী শেখার আছে তা নিয়েও কথা বলেন। এ ছাড়াও চিফ গেস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আতিউর রহমান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ইকোনমিস্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর। স্পেশাল গেস্ট হিসেবে ছিলেন ডিন অব স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনমিস, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, প্রফেসর ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী। কুইজ এবং স্বাধীনতা ক্যানভাস প্রতিযোগিতায় ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারীদের কাবুলিওয়ালা পক্ষ হতে আকর্ষণীয় গিফট হ্যাম্পার দেওয়া হবে এবং অংশগ্রহনকারী প্রত্যেকের জন্য ছিল সার্টিফিকেট।
স্বাধীনতার চেতনায় বর্তমান তরুণ সমাজকে উজ্জীবিত করতে এবং তাদেরকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানাতে উদ্বুদ্ধ করতে ওয়াইএসএসই এই সকল বিশেষ অনুষ্ঠান ও আলোচনার আয়োজন করে। স্বাধীনতার ইতিহাস আমাদের আত্মপরিচয়ের ইতিহাস। নতুন প্রজন্মের মাঝে এই ইতিহাসের মাহাত্ম্য তুলে ধরা তাই আমাদেরই দায়িত্ব।