খবর৭১ঃ
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণের পর রক্ত জমাট বাঁধছে বলে যে আশঙ্কা করা হচ্ছে সে বিষয়ে বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছে, অক্সফোর্ডের টিকা গ্রহণের পর রক্ত জমাট বাঁধার কোনো আভাস মেলেনি। এমন কোনো প্রমাণও তাদের হাতে নেই।
চলতি সপ্তাহে রক্তে জমাট বাঁধছে এমন আশংকায় অক্সফোর্ডের টিকাদান স্থগিত করে ডেনমার্ক, নরওয়ে, আইসল্যান্ড, থাইল্যান্ডসহ কয়েকটি দেশ। এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হলে মতামত জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, রক্ত জমাট বাঁধা ও অক্সফোর্ডের টিকার কোনো যোগসূত্র নেই। এটি চমৎকার টিকা এবং এর ব্যবহার অব্যাহত রাখা উচিত। খবর বিবিসির
মার্গারেট হ্যারিস বলেন, ‘আমরা যা দেখব তা আমরা সব সময় দেখে থাকি—যেকোনো নিরাপত্তা সংকেত অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্সফোর্ডের টিকা রক্ত জমাট বাঁধার জন্য দায়ী বর্তমানে এমন কোনো প্রমাণ নেই। অক্সফোর্ডের টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও এ ধরনের ঘটনা উল্লেখ করা হয়নি।
এখন পর্যন্ত যেসব দেশ অক্সফোর্ডের টিকাদান স্থগিত করেছে তারা টিকার সঙ্গে রক্ত জমাট বাঁধার বিষয়ের কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। একারণে এখনই টিকাদান বন্ধের কোনো কারণ দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ইউরোপের প্রায় পঞ্চাশ লাখ মানুষ ইতোমধ্যেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় ত্রিশটি ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাধার মতো লক্ষণের খবর প্রকাশ পেয়েছে।
ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় রক্ত জমাট বাধার কোন লক্ষণ তারা পায়নি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকাও বলছে, ব্যাপক ভিত্তিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাধ্যমে এই টিকার নিরাপত্তা সম্পর্কে সমীক্ষা করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে ঔষধ ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, টিকায় সমস্যা হচ্ছে এমন কোন প্রমাণ এখনো নেই এবং জনগণকে টিকা দেয়া অব্যাহত রাখা উচিত। যুক্তরাজ্যজুড়ে এক কোটি দশ লাখের বেশি ডোজ টিকা ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়াতেও তিন লাখ ডোজ টিকা গেছে এবং দেশটি বলছে, তারা টিকাদান অব্যাহত রাখবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন,”এ মূহুর্তে চিকিৎসকদের পরিষ্কার বার্তা হল- এটি নিরাপদ টিকা এবং আমরা টিকাদান চালিয়ে যেতে চাই।”
ফিলিপাইনও বলছে, টিকাদান স্থগিত করার কোন কারণ নেই। দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, টিকা নেয়ার কয়েকদিন পর আট জনের মৃত্যুর সাথে টিকার কোন সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।