খবর ৭১: শিক্ষার উন্নয়ন ও প্রসারে বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্টের মাধ্যমে সারাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাসহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আমরা শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে বিত্তশালীরাও এগিয়ে আসবেন। আমাদের শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট ফান্ডে সহায়তা করবেন বা নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহায়তা করবেন। নিজে যে প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করেছেন, সেটার উন্নয়নে ও সেখানকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে আসলেই তো হয়।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছেলে শিক্ষার্থী কেন কমে যাচ্ছে, তার কারণ উদঘাটন করে ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সবসময়ই চেয়েছে শিক্ষাখাতের প্রসার। বর্তমানে শিক্ষার হার ৭৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
সরকার দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বিজ্ঞান ও কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশের এই ধারা অব্যাহত রাখতে উপযুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।
অনলাইন মাধ্যমে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্নাতক পর্যায়ে উপবৃত্তি, ভর্তি ও চিকিৎসা অনুদান হিসেবে ৮৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৫ হাজার ৪০০ টাকা প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এই ট্রাস্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ২০১২ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করি। এর মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উপবৃত্তি, টিউশন ফি, ভর্তি সহায়তা ও চিকিৎসা অনুদান দেয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ দেয়া হচ্ছে।’
গণভবন প্রান্ত থেকে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম খান প্রমুখ।