খবর৭১ঃ বিকৃত যৌনাচারে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ও–লেবেল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে এমনটি জানা গেছে।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইংলিশ মিডিয়ামের এই ছাত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ফলে যৌন ও পায়ু পথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি জানান, ওই ছাত্রীকে চেতনানাশক কোনো কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কি না সেজন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলে একাধিক ব্যক্তি ছিল কি না সেজন্য ডিএনএ নমুনা এবং ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব কেমিক্যাল পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রী বয়সের বিষয়ে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, বয়স জানতে মরদেহ হাসপাতালের এক্সরে বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে এক্সরে করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক্সরে ছাড়াই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। শরীরের গঠন ও দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে ওই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় তার ‘বন্ধু’ তানভীর ইফতেফার দিহানকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে। দিহান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ঠাকুর দাস বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ওই ছাত্রী তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। কলাবাগানের ডলফিন গলিতে দিহানের বাসায় যায় ওই ছাত্রী। দিহানের বাসা তখন ফাঁকা ছিল। সেখানে ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে দিহান তার তিন বন্ধুকে ফোন করে ডেকে আনে। পরে তারা অসুস্থ ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বিকালে তার মৃত্যু হয়।