খবর৭১ঃ ২০২০ সাল শেষ হয়ে ২০২১ শুরু হয়েছে। কিন্তু মানুষের দুঃখ-দুর্ভোগ মোটেই শেষ হয়নি। বিশ্বে প্রতিদিনই নতুন নতুন ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। মানুষ মনে করতে শুরু করেছে, পৃথিবী থেকে শিগগিরই বিদায় নেবে করোনাভাইরাস মহামারি। কিন্তু এর মধ্যে নতুন করে আরও ভয়াবহ খবর সামনে এসেছে।
করোনার চেয়ে আরও ভয়ংকর বেশ একটি ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে আফ্রিকায়। ‘ডিজিজ এক্স’ নামের এই ভাইরাস শিগগিরই বিশ্বজুড়ে আরও ভয়াবহ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চার দশক আগে ইবোলা ভাইরাস সন্ধানী বিজ্ঞানী।
১৯৭৬ সালে ইবোলা ভাইরাস চিহ্নিত করার অন্যতম পথিকৃৎ বিজ্ঞানী ও গবেষক অধ্যাপক জাঁ-জ্যাক মুয়েম্বে তামফুম। মুয়েম্বে কিনসাসার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল রিসার্চ (আইএনআরবি) পরিচালনা করে থাকেন। কেন্দ্রটি পরিচালনায় সহায়তা করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এবং ডব্লিউএইচও।
ওই কেন্দ্রটির পরীক্ষাগার থেকেই ইবোলার মতো প্রাণঘাতী রোগের প্রাথমিক হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বিজ্ঞানী মুয়েম্বে সতর্ক করে বলেছেন, মানবজাতি নতুন ও সম্ভাব্য বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী ভাইরাসের মুখোমুখি হতে পারে। আফ্রিকার ক্রান্তীয় রেইনফরেস্ট থেকে এসব ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর দুর্গম একটি গ্রামে রক্তক্ষরণকারী জ্বরের লক্ষণে এক নারী আক্রান্ত হওয়ার পর ভীতি ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সতর্কতা উচ্চারণ করেন তিনি।
সম্প্রতি আফ্রিকার দেশ রিপাবলিকান অব কঙ্গোর প্রান্তিক শহর ইনগেন্ডেতে এক নারীর শরীরে দেখা দিয়েছে অজানা জ্বর ও রক্তক্ষরণের উপসর্গ। এ নিয়ে গত মাসের শেষ দিকে (২৩ ডিসেম্বর) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিএনএন। মঙ্গলবার নতুন করে প্রতিবেদনটির আপডেট ভার্সন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন মতে, অসুস্থ হওয়ার পর একাধিক রোগের আশঙ্কায় ওই নারীকে ইবোলাসহ নানা ভাইরাসের খোঁজে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরও কোনো নির্দিষ্ট জীবাণুকে চিহ্নিত করা যায়নি। এ কারণে অজানা এই উপসর্গকে ‘ডিজিজ এক্স’ বা এক্স অসুখ নামে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা তার ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। ওই নারীর পরিচয়ও আপাতত গোপন রাখা হয়েছে। তবে ভালো খবর হলো, এ রোগের চিকিৎসায় ইবোলার ভ্যাকসিনকেই প্রধান চিকিৎসার ওষুধ হিসেবে প্রয়োগ করা হয়েছে এবং তাতে আপাতত এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে।