খবর৭১ঃ বিদেশফেরত যাত্রীরা করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে না আনলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মন্ত্রী বলেন, বিদেশ ফেরত যাত্রীদের অবশ্যই নেগেটিভ সার্টিফিকেট সঙ্গে করে আনতে হবে। তা না হলে দেশে এলেই বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নতুন একশ ভেন্টিলেটর মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে ১০০টি ভেন্টিলেটর হস্তান্তর করেন।
জাহিদ মালেক বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমেরিকা বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র। দেশের উন্নয়নমূলক কাজে আমেরিকা সরকার সবসময় বন্ধুর মতোই এগিয়ে এসেছে।এই করোনা দুর্যোগে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর দেশ আমেরিকা।নিজ দেশের এতো বড় বিপর্যয়ের পরেও আমেরিকা বাংলাদেশকে ১০০টি অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর উপহার দিচ্ছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
তিনি বলেন, এই ভেন্টিলেটরগুলো অত্যন্ত আধুনিক ও সহজে ব্যবহার উপযোগী। এমনকি পর্যাপ্ত ট্রেনিং ছাড়াও এই ভেন্টিলেটরগুলো ব্যাবহার করা যায়। এ কারণে দেশের উপজেলা পর্যায়ে যেখানে এখনও আইসিইউ সেবা পৌঁছানো সম্ভব হয়নি সেসব এলাকায় এই একশসহ আরও নতুন ৩শ ভেন্টিলেটর কিনে খুব দ্রুতই পাঠানো হবে।
অনুষ্ঠানে করোনাকালীন দুঃসময়ে বাংলাদেশ আমেরিকায় প্রচুর পরিমাণে পিপিই সরবরাহ করেছে বলে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার। তিনি ভবিষ্যতে দুদেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন– ইউএসএইডের ডেপুটি মিশন ডিরেক্টর জন এলিও, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির মহাসচিব প্রফেসর আহমেদুল কবীর।