সপ্তাহে তিনটি অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের

0
440
সপ্তাহে তিনটি অ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের

খবর৭১ঃ
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে তিনটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রবিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে এ সংক্রান্ত সাতটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

মাউশি জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে সরকার প্রথাগতভাবে বার্ষিক পরীক্ষা না নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে অ্যাসাইমেন্টের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল মূল্যায়ন করা হবে। পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে কোন সপ্তাহে শিক্ষার্থীর কী মূল্যায়ন করা হবে সেটা বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারিত কাজ প্রণয়ন করা হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে ওই সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্টগুলো দিয়ে দেয়া হবে। সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে নতুন কাজ বুঝে নেবে। এটি অভিভাবক বা অনলাইনে জমা দেয়া যাবে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্ধারিত বিষয়সমূহের প্রস্তাবিত অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেয়া, মূল্যায়ন করা, পরীক্ষকের মন্তব্যসহ শিক্ষার্থীদের তা দেখানো এবং প্রতিষ্ঠানে সেটি সংরক্ষণ করার কাজ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।

এছাড়া ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সকল মূল্যায়ন রেকর্ড যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। অ্যাসাইনমেন্টের আওতায় ব্যাখ্যামূলক প্রশ্ন, সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন, সৃজনশীল প্রশ্ন, প্রতিবেদন প্রণয়ন ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এটি সাদা কাগজে নিজের হাতে লিখে জমা দিতে হবে। অভিভাবক বা তার প্রতিনিধি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতি সপ্তাহে একদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবে এবং তা জামা দেবে।

শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ১৬ মার্চ পর্যন্ত মাধ্যমিকের ক্লাস হওয়ার পর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৮ মার্চ থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্জক্রম ব্যাহত হয়েছে। ফলে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের নির্ধারিত পাঠ্যসূচি পড়ানো সম্ভব হয়নি। এ কারণে চলতি বছরের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি সংক্ষিপ্ত করে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কিশোর বাতায়নের মত কিছু প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল ক্লাসগুলোকে এমনভাবে আপলোড করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা দেশের যেকোনো জায়গা থেকে ক্লাসগুলো দেখতে পায়। কিন্তু অনেকে এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে। এ কারণে তাদের পাঠ্যসূচি পুনর্বিন্যাস ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিখন ফলের দুর্বলতা চিহ্নিত করে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রবিবার রাজধানীর একাধিক অভিভাবক জানিয়েছে, তারা মাউশি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেই ঠিকমতো ঢুকতে পারছেন না। আবার ঢুকতে পারলেও অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করতে পারছেন না।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যাসাইনমেন্ট পৌঁছানোটাই দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সব শিক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকদের ডেকে সহজেই অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া সম্ভব নয়। এমনকি মফস্বলের সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকের ফোন নম্বর শিক্ষকদের সংরক্ষণে নেই। আবার অনেক নম্বরই বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী কাজে যোগ দিয়েছেন, যাদের পাওয়া যাচ্ছে না। রবিবার সপ্তাহের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীদের কাছে চলতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট পৌঁছানোর কথা থাকলেও বেশিরভাগ স্কুলই তা পৌঁছাতে পারেননি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here