খবর৭১ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করায় চাকরি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সভায় তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিনেটর নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল, অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, শামসুজ্জামান খান, বাহারুল মজনুন চুন্নু প্রমুখ।
সিন্ডিকেট সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য যুগান্তরকে বলেন, সভায় বঙ্গবন্ধু ও সংবিধান অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি দুই প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ (প্রশাসন) ও অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামালের (শিক্ষা) মধ্যে সামাদকে জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি উল্লেখ করে তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে অনলাইনে ক্লাসগুলোতে কানেক্ট হতে পারে সেজন্য বিভাগ ও ইনস্টিটিউট থেকে সব ধরনের সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়। তবে এখনি ক্যাম্পাস খুলবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত কোনো হয়নি।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ জাতীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ লেখেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ এনে পরদিন বিক্ষোভ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সে সময় অধ্যাপক মোর্শেদকে বরখাস্ত করার দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়।
পরে ২ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
ওই কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হলে মোর্শেদ হাসান খানের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা নিয়ে আইনি সুপারিশ করতে গত বছর ৩০ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এই ট্রাইব্যুনালের সুপারিশের ভিত্তিতেই আজ তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হল।