খবর৭১ঃ এক বছরের ব্যবধানে ছয় ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম বন্দর। বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরসমূহের তালিকায় ৫৮তম অবস্থানে উঠে এসেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এ নিয়ে গত এক দশকে ৩০ ধাপ এগিয়েছে এই বন্দর।
২০১৯ সালে সারা বিশ্বের বন্দরগুলোর দৈনন্দিন ব্যস্ততা, কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে শীর্ষ ১০০টি বন্দরের তালিকা তৈরি করেছে লয়েডস লিস্ট। লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন এই সংবাদমাধ্যম বিশ্বের ব্যস্ত বন্দরগুলোর তালিকা প্রকাশ করেছে। পোশাকশিল্পের রপ্তানির ওপর নির্ভর করেই চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয় লয়েডস লিস্টের প্রতিবেদনে। তবে অবস্থানগত উন্নতি হলেও প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ জরুরি বলেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক ইত্তেফাককে বলেন, বিদ্যমান সক্ষমতা ব্যবহারের পাশাপাশি বন্দরের সম্প্রসারণ কাজও এগিয়ে চলেছে। পতেঙ্গা টার্মিনাল আগামী বছরেই যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বেটার্মিনাল এবং মাতারবাড়ী বন্দরের কাজও এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, দেশের কনটেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। এতে একক বন্দর হিসেবে চট্টগ্রামের ব্যস্ততা দিনদিন বাড়ছে। ফলে বন্দর সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্দরের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০১৯ সালে বিশ্বের বন্দরগুলোর গড় প্রবৃদ্ধি ছিল আড়াই শতাংশ। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবৃদ্ধি ছিল তারও অধিক প্রায় ৬ শতাংশ। পাকিস্তানের করাচি বন্দর এক সময় ছিল চট্টগ্রামের আগে। দুই বছর আগেই করাচিকে পেছনে ফেলেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এখন করাচি বন্দরের ২৭ ধাপ ওপরে আছে চট্টগ্রাম বন্দর।
অপরদিকে লয়েডস লিস্টের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীনের সাংহাই বন্দর। গত বছর বন্দরটি দিয়ে ৪ কোটি ৩৩ লাখ কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর বন্দর। সবার শেষে, ১০০তম স্থানে রয়েছে তাইওয়ানের তাইপে বন্দর। এই বন্দর দিয়ে কনটেইনার পরিবহন হয়েছে ১৬ লাখ। লয়েডস প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি বন্দর দিয়ে ৬৩ কোটি ৪০ লাখ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে, যা ২০১৮ সালের তুলনায় আড়াই শতাংশ বেশি। শীর্ষ ১০০ বন্দরের মধ্যে চীনের আছে ২৩টি। চীনের বন্দরগুলো দিয়ে বিশ্বের মোট কনটেইনারের ৩৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ পরিবহন হয়েছে। চীনে গত বছর কনটেইনার পরিবহন হয়েছে ২৪ কোটি ৩৭ লাখ।