খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কেনার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই কথা জানান।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক বের করতে নানা চেষ্ট করছে বিশ্বের নামিদামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে করোনার টিকার ট্রয়াল চলছে৷ সবশেষ রাশিয়া করোনার টিকা আবিষ্কারের দাবি করেছে। তাই করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার দৌড়ে বিভিন্ন দেশ দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। বাংলাদেশও রয়েছে এই তালিকায়।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকের শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের মিটিং সেট করা হয়েছে। সেই মিটিংয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব যে চীনকে বাংলাদেশে তাদের ভ্যাকসিন ট্রায়াল করতে দেয়া হবে কি না। এ বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে চীন বাংলাদেশে কতো মানুষের ওপর ট্রায়াল করবে, এক্ষেত্রে চীন আমাদের কত টাকা দেবে, ট্রায়াল হলে চীন কী শর্তে ভ্যাকসিন দেবে-সেসব নিয়ে সিদ্ধান্তের পর চীনকে ট্রায়াল করতে দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করছে তা বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করার জন্য তারা চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে এবং অ্যাডভান্স নিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানাসহ অন্য ভ্যাকসিন উদ্ভাবক কোম্পানিগুলোর সঙ্গেও বিভিন্ন দেশ চুক্তি করছে এবং অ্যাডভান্স দিচ্ছে। যারা আগে থেকে অ্যাডভান্স করে রাখছে, তাদের আগে টিকা সরবরাহ করবে কোম্পানিগুলো। আমরাও এসব কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করা কিংবা অ্যাডভান্স দেওয়ার বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকা উদ্ভাবক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থাটির লক্ষ্য হলো শুরুতে বিভিন্ন দেশের ৩ শতাংশ মানুষকে টিকা সরবরাহ করা এবং আগামী মার্চে তারা ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকা সরবরাহের উদ্দেশ্যে কাজ করছে।