ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিবের ছোট ভাই ঠাকুরগাঁও পৌরভার মেয়র মির্জা ফয়সল আমিনের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে ইজিবাইক শ্রমিকরা।
ইজিবাইক শ্রমিকদের উপর পৌর টোলের নামে চাঁদাবাজি ও ইজিবাইক শ্রমিকদের উপর সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধের দাবিতে ঠাকুরগাঁও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলো স্থানীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ ইজিবাইক শ্রমিকরা। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পৌরসভা ঘেরাও কর্মসূচী পালন করেছে স্থানীয় ইজিবাইক শ্রমিকরা।
এসময় পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিনের কুশপত্তলিকায় আগুন জ্বালিয়ে ধিক্কার জানায় তারা ।
শ্রমিকরা বলছেন, এর আগে মেয়র পৌরটোল বন্ধের আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই ইজিবাইক শ্রমিকদের সাথে প্রতারনা করে আবারও পৌর টোলের ইজারার ডাক দিয়েছেন ।
জানাযায়, এই টোল ইজারায় যতটা না পৌরসভা আয় করে তার থেকে ৫০ গুন বেশী আয় করে টোল আদায়কারীরা । গত অর্থবছর ২০১৯-২০২০ সালে পৌরসভা ৪ লক্ষ টাকায় ইজারা দিয়েছিল আর আদায়কারী আয় করেছিল প্রায় ২ কোটি টাকা । তাহলে প্রশ্ন আসে এই টোল ইজারা কাদের স্বার্থে ? এখন পৌরসভা লাইসেন্স ও টোল ইজারা বাবদ প্রায় ১৭ -১৮ লক্ষ টাকা আয় করে অথচ সমপরিমাণ টাকা পৌরসভা বর্তমান লাইসেন্সের সংখ্যা দুই হাজার থেকে বাড়িয়ে তিন হাজারে উন্নিত করতে পারলেই আয় করতে পারে ।
বিক্ষোভ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে পৌরসভা ঘেরাও কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ঠাকুরগাঁও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহাবুব আলম রুবেল, সাধারন সম্পাদক আবু আসলাম লাবুসহ অন্যান্য ইজিবাইক শ্রমিকগণ।
বক্তারা বলেন, এই করোনা কালে সারা দেশের শ্রমিকদের মত ঠাকুরগাঁয়ের ইজিবাইক শ্রমিকরাও চরম অভাব দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে । দুই মাস লকডাউনে গাড়ি চালাতে না পেরে ব্যাটারি ড্যামেজ হয়েছে, ঋণ করে সংসার চালাতে গিয়ে ঋণগ্রস্থ হয়েছে । এখন কিছুটা যানবাহন চলাচল করলেও আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে । এইরকম অবস্থায় যখন শ্রমিকদের খেয়ে বাঁচাটায় কঠিন হয়ে পড়েছে তখন ঠাকুরগাঁও পৌরসভা আবার নতুন করে এই অর্থবছরে ২০২০-২০২১ ইজিবাইকে টোল ধার্য করা মরার উপরে খরার ঘা এর মতো অবস্থা দাড়িয়েছে।
এসময় পৌর টোলের নামে চাাঁদাবাজি বন্ধ না হলে এই ইজিবাইক শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে হুশিয়ারি আসে কর্মসূচী থেকে।
এই বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পৌর মেয়র ফয়সল আমিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইজিবাইক শ্রমিকদের আন্দোলন সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এরকম আন্দোলনে তাঁরা কিছুই অর্জন করতে পারবেনা । আমরা সরকারের অনুমোদনে সম্পূর্ণ নিয়মের মধ্যে থেকেই টোল আদায় কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকি । তাদের এই অযৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে পৌরসভার উন্নয়ন ব্যহত করতে পারিনা । কারণ এগুলোই পৌরসভার আয়ের উৎস।