খবর৭১ঃ বৈশ্বিক মহামারি করোনায় কাঁপছে গোটা দুনিয়া। অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে বেশির ভাগ দেশ। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে করোনা পরবর্তী সময়ে ঘুরে দাঁড়াতে বড়-সড় ধাক্কায় পেতে হবে। করোনায় এমন বিপর্যস্ত অর্থনীতির মধ্যেও গ্রামীণ সড়ক আর কালভার্ট নির্মাণের নামে এমপিদের দেয়া হলো মাথাপিছু ২০ কোটি টাকা।
সংকটকালীন এই সময়ে অর্থ বরাদ্দে সরকারকে প্রয়োজন বুঝে ব্যয় করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা। অন্যদিকে, পরিকল্পনা মন্ত্রীর দাবি, জনগণের চাহিদা আছে বলেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
করোনা সংকটে টানা প্রায় আড়াই মাস সাধারণ ছুটিতে অনেকটাই স্থবির ছিলো দেশের অর্থনীতি। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে রাজস্ব আয়ে। শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরেই ঘাটতি প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা।
অথচ, এমন প্রেক্ষাপটেই ২৮০ সংসদ সদস্যকে মাথাপিছু ২০ কোটি টাকা করে রাজনৈতিক বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার। গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণের নামে সম্পূর্ণ এডিপি বহির্ভূত প্রকল্পের ব্যয় ৬ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা, যা অনুমোদন দিয়েছে একনেক।
সংকটে কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য নাকি অবকাঠামো, এমন প্রশ্নে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জবাব, জনগণের চাহিদা আছে বলেই দেয়া হয়েছে অনুমোদন। অবস্থা খারাপ আপনারা বলছেন। আমরা তো বলছি না। আমিও বলছি না।
যদিও, দীর্ঘমেয়াদী সংকট এড়াতে প্রয়োজনীয়তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রকল্প গ্রহণের পক্ষে অর্থনীতিবিদরা। তারা বলেন, এখান থেকে অর্থ সাশ্রয় করে স্বাস্থ্যখাত বা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজে লাগানো যেতো।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ২০টি আসনের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বিশেষ এই আর্থিক সুবিধার বাইরে থাকছেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যরাও।