খবর৭১ঃ লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চীন সেনাদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। মঙ্গলবার ভারতীয় স্থানীয় সময় রাত ১০টা নাগাদ সংবাদ সংস্থাটির প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করা হয়।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায় , সংঘর্ষের ঘটনার হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এখনো ভারতীয় সেনাদের মধ্যে গুরুতর আহত রয়েছেন কমপক্ষে ১৭ জন। চীনেরও ৪৩ জন সেনা হতাহত হয়েছেন।
সোমবার রাতে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সেনাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, গোলাগুলি নয়, পাথর, রড নিয়ে হামলা চালায় চীনের সেনারা। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। এদিকে চীনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সংঘর্ষের ঘটনায় তাদের ৫ জওয়ান নিহত হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, লাদাখে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন। এনিয়ে দুপুরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তিন বাহিনীর প্রধান এবং চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়। এ দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এই সংঘর্ষের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তাব বলেন, সীমান্তের নিয়ম অনুযায়ী এলএসির ভেতরেই রয়েছে ভারত। আমাদের আশা চীনও সেটাই করবে। ভারত চায় এলাকায় শান্তি ও বজায় রাখতে। যে সমস্যা রয়েছে তা আলোচনার মধ্যমে মিটিয়ে ফেলা হবে। পাশাপাশি, ভারতের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপোস করা হবে না।
বেশ কিছুদিন ধরেই লাদাখের প্যাংগন লেক ও গালওয়ান উপত্যকায় দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। এনিয়ে দুদেশের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে ঠিক হয়, শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নেওয়া হবে।সোমবার সকালে দুদেশের ব্রিগেডিয়ার পর্যায়ে বৈঠক হয়। তারপর রাতে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে।
১৯৭৫ সালের পর সম্ভবত এই প্রথম ভারত-চীন সীমান্তে সামরিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।