খবর৭১ঃ
মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক পাহাড়ি বনাঞ্চল রেমা–কালেঙ্গা। সুন্দরবনের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাকৃতিক এই বন প্রায় ১৭৯৫ হেক্টর আয়তনের এ বনভূমি বনবিভাগের কালেঙ্গা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য গঠিত। রয়েছে বেশ কয়েকটি পাহাড়–টিলা। এখানকার পাহাড়গুলোর সর্বোচ্চ উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬৭ মিটার, প্রতিদিন এই সড়কে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে।
পাহাড়ি বনাঞ্চলে যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা কালেঙ্গা সড়ক। পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব নয়। যানবাহনে চলাচল করতে হয়। রাস্তায় খানা–খন্দে ভরা, যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যানবাহন যেতে চায় না কাঁদায় ভরা সড়কটি দিয়ে। আর একটু বৃষ্টি হলে কালেঙ্গার গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পরিণত হয় অবহেলিত কোনো মফস্বলের সড়কে। ইচ্ছে করলে চাষ দিয়ে ধান রোপণও করে ফেলা যায়। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন উপজেলার রানিগাঁও ইউনিয়নের কালেঙ্গা, লালকেয়ার, হরিনমারা, আবদুল্লাপুর, নারিন্দা ঠিলা, নতুন বাজার, চামলতলীসহ পুর্বঞ্চলের প্রায় দশ গ্রামের মানুষ। এই সড়কের পাশে রয়েছে দুইটি কওমী মাদ্রাসা, কালেঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিজিবি সীমান্ত ফাড়ি রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বেহাল অবস্থা এ সড়কের।
এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এমনকি ভাঙ্গা রাস্তার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যানবাহনও। কালেঙ্গা সড়কের প্রায় কিছু জায়গা সলিং হলেও ধীরগতিতে কাজ করায় আজও সমাপ্ত হয়নি কাজ। ওই এলাকার ১০ গ্রাম মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীর পরামর্শে দুর্গম পাহাড়ী এলাকার রাস্তাটি পরিদর্শন ও দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর। তিনি বলেন ওই এলাকার চলাচলে একমাত্র রাস্তা কালেঙ্গা সড়ক, আমি শুরু থেকেই এটার এই অবস্থা দেখে আসছি। আমি এই রাস্তাকে একটি সুন্দর রাস্তায় পরিণত করবার জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আপাতত চলাচলের জন্য নিজ উদ্যোগে সংস্কার করে দিচ্ছি সংশ্লিষ্টকে কাজ করতে বলা হয়েছে, রাস্তার পুর্নকাজ অচিরেই শুরু হবে। উপজেলা এলজিইডি‘র সহকারী প্রকৌশলী মিশু কুমার দত্ত জানালেন, এই মুহুর্তে জরুরি চলাচলের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
‘চলতি অর্থ বছরে আমরা এই পুরো ৩ কিলোমিটার রাস্তারই কাজ শুরু করে দিবো। স্থানীয় কলেজ পড়ুয়া উম্মে সালমা, লিখন দেবনাথ, রিয়া, রীতি জানান, এই রাস্তায় হেটে চলা সম্ভব নয়, আবার রিকশাও আসতে চায় না। মাঝে মাঝে সিএনজি গাড়িও রাস্তার গর্তে আটকে যায়। এলাকার ডাকে এই দূরবস্থায় পাশে থেকে সহযোগীতা করায় বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টিদেরকে ধন্যবাদ জানান তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, হবিগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল বাছির, মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রমিজ উদ্দিন, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মানিক সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রিপন, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।