খবর৭১ঃ কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে এবার লবণ আমদানি করতে হবে না। বর্তমানে দেশে যে পরিমান লবণ মজুদ আছে তা দিয়েই চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ অন্যান্য সব চাহিদা মেটানো সম্ভব বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।
বিসিক জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে মোট চাহিদার বিপরীতে ২০ লাখ ৩ হাজার টন লবণ মজুদ আছে। এর মধ্যে সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে মোট ১৫ লাখ ৭০ হাজার টন ক্রুড লবণ উৎপাদিত হয়েছে। এছাড়া গত মৌসুমের উদ্বৃত্ত লবণ আছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার টন । ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশে ভোজ্য ও শিল্প লবণের মোট চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। এই হিসেবে দেশের মোট চাহিদা চেয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টন লবণ বেশি মজুদ রয়েছে। এছাড়া দেশের সকল জেলার ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে।
বিসিক জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে শিল্প লবণের চাহিদা তুলনামূলক কম। অন্যদিকে আগামি নভেম্বরে লবণ উৎপাদনের মওসুম শুরু হবে। এ অবস্থায় বর্তমান মজুদকৃত লবণ দিয়েই আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। ফলে এ বছর লবণ আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই।