খবর৭১ঃ
আব্দুল আওয়ালঃ নেত্রকোনার মদনে শাহিনূর আক্তার পান্না (২৬) নামের এক বিজিবি সদস্যের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে মদন থানা পুলিশ। শনিবার সকালে উপজেলার গোবিন্দশ্রী ইউনিয়নে গোবিন্দশ্রী গ্রামের (পশ্চিম পাড়া) স্বামীর বসত ঘর থেকে তার মৃত দেহ উদ্ধার করে। বিজিবি সদস্য স্বামী মোঃ ওমর সানি লিংকনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আটককৃত বিজিবি সদস্য ওমর সানী লিংকন গোবিন্দশ্রী উচ্চ বিদ্যালয়ের (অব:) শিক্ষক আলতাব মাস্টারের ছেলে।
স্বামীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, শনিবার রাতে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে পান্না। মেয়ের ভাইয়ের দাবি পারিবারিক কলহে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে তার বোনকে। পান্না নি:সন্তান ছিল। শাহিনুর আক্তার পান্নার ভাই কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের সরাপাড়া গ্রামের মাহফুজ আলম মমিন জানান, ২০১৪ সালে আমার বোনকে তার সাথে বিয়ে দেয়ার সময় ৫ লাখ টাকা যৌতুক ও ৪ ভরি স্বর্ণালংকার দেয়া হয়ে ছিল। তবে তার আরেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক থাকায় আমার বোনকে প্রায়ই নির্যাতন করত ও আরো যৌতুক দেয়ার জন্য চাপ দিত। ফলে আমার বোন বেশি সময় আমাদের বাড়িতে থাকত। গত কয়েকদিন আগে ছুটিতে আসার পর (১২ জুন) শুক্রবার তার স্বামীর সাথে শ্বশুর বাড়িতে যায়।
শনিবার রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় মার সাথে আমার বোন মোবাইল ফোনে কথা বলতে চেয়ে ছিল। পরে তার স্বামী লিংকন মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে যায়। এর পর থেকেই মোবাইল বন্ধ পাই। শনিবার সকালে খবর শুনি পান্না গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার বোন আত্মহত্যা করতে পারে না। আমার বোনকে লিংকন, তার মা ও বোন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই। আমি এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়ের করছি।
এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, ওড়না পেছিয়ে আত্মহত্যার খবর শুনে অতিরিক্ত (খালিয়াজুরি) সার্কেলসহ আমি ঘটনাস্থল গোবিন্দশ্রীতে গেলে মাটিতে পড়া অবস্থায় পান্নার মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তার স্বামী ওমর সানী লিংকনকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।