খবর৭১ঃ
আব্দুল আওয়ালঃ নেত্রকোনার মদন উপজেলা হাসপাতালে আহত সেই বৃদ্ধাকে দেখতে আসা স্বজন সুমন মিয়া(২৫) হামলায় শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে রাত আনুমানিক ৩ টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুমন মিয়া উপজেলা তিয়শ্রী ইউনিয়নের বালালী গ্রামের মৃত সবুজ তালুকদারের ছেলে। হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানায়, উপজেলার বালালী গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে (০৬ জুন) একই গ্রামের আবদুল গণি বেচুকে দৌলতপুর কালিবাড়ি মোড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে। পরে আব্দুল গণি বেচু মিয়ার লোকজন (০৮ জুন) ইউপি সদস্য রিয়াজ আহমেদ সোহেলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়ি ঘর ভাংচুর করে তার বৃদ্ধ মায়ের হাত ও আঙ্গুল ভেঙে দিলে মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার দুপুরে সোহেলের খালাতো ভাই সুমন তার সেই বৃদ্ধা খালাকে মদন হাসপাতালে দেখতে এলে আব্দুল গণি বেচু, তার ছেলে সানি, ভাই জলিল, ভাতিজা সংগ্রাম, ভাগ্নে শহর মুল্লক, মেয়ের জামাই বিদ্যা মিয়া ও আজিজুলসহ আরো ১৫/২০ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে ছুরিকাঘাতে সুমনকে গুরুতর আহত করে।
এতে সুমনের অবস্থা আশঙ্কা জনক থাকায় মদন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার কাজী বুশরা আমিন তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তার অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে রাত আনুমানিক ৩ টায় তার মৃত্যু হয়। ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, হামলায় আহত সুমন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। শুক্রবার হামলার ঘটনায় সুমনের ভাই বাদী হয়ে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হামলায় জড়িত থাকায় ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। দায়ের করা ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রুপান্তির হবে।