খবর৭১ঃ করোনা সংক্রমনের ভয়াবহ বিস্তার রোধে সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ নিশ্চিত করতে পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর সদস্যরা মনে করেন,ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় বড় বড় এলাকা ধরে দ্রুত অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
কমিটির ৯ম সভা থেকে মোট ৫টি সুপারিশ করা হয়।
বুধবার গভীর রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এসব তথ্য জানান।
সভায় গৃহীত ৫টি সুপারিশের মধ্যে আছে-
১. করোনাভাইরাসের বিস্তার বন্ধে পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন। এ কমিটি জীবন-জীবিকার সামঞ্জস্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করছে। তার ভিত্তিতে সারা দেশে আক্রান্ত ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে যতটা বড় এলাকায় সম্ভব জরুরিভাবে লকডাউনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেন।
২. অত্যন্ত জরুরিভিত্তিতে সব হাসপাতালে হাই- ফ্লো অক্সিজেন থেরাপীর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে চিকিৎসা চালুর জন্য এ কমিটি যে পরামর্শ দিয়েছে তা স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়কে পুনরায় অবহিত করা।
৩. চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা ব্যাপকহারে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের জীবনাবসান ঘটেছে। তাঁদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। এসময় বলা হয় এ হারে আক্রান্ত হতে থাকলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা প্রবলভাবে ব্যাহত হবে। হাই-ফ্লো অক্সিজেন ও প্রয়োজনীয় উপকরনসহ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য আলাদা হাসপাতাল চালুর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
৪. কোভিড-১৯ এর জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলো সবসময় পূর্ণ থাকছে। জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে সব হাসপাতালে পৃথক এলাকা নির্ধারন করে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীর চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যেসব হাসপাতালে এ সিদ্ধান্ত এখনও বাস্তবায়ন হয়নি সেগুলোতে কার্যকরের পাশাপাশি করোনা রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা আরও বাড়ানো দরকার। এজন্য বক্ষব্যাধি হাসপাতাল বা এধরনের অন্য যে কোন উপযুক্ত হাসপাতাল দ্রুত চালু করা দরকার।
৫. সরকার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সফলতা দেখিয়েছে। এখন প্রয়োজন পরীক্ষার মান্নোয়ন ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল নিশ্চিতের ব্যবস্থা করা। যতদিন সময় কমানো না যায়, ততদিন পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করে সন্দেহভাজন রোগীর চিকিৎসা/আইসোলেশন নিশ্চিতের ব্যবস্থা করতে হবে।