শেরপুর, আবু হানিফঃ শেরপুর পৌর শহরের দিঘারপাড় এলাকায় বিয়ের ৪ মাসের মাথায় গৃহবধুকে নির্যাতনের পর হত্যা করে ফাঁসিতে জুলিয়ে রাখার অভিযোগ ওঠেছে। ওই ঘটনার পর পরই স্বামী ইজিবাইক চালক মঞ্জু মিয়া এবং তার বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, ৪ মাস আগে শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া গ্রামের হারুনুর রশীদের মেয়ে তানজিনার সাথে শেরপুর পৌর এলাকার দিঘারপাড় মহল্লার লাভলু মিয়ার ছেলে মন্জুরুলের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে মেয়েটিকে নির্যাতন করে আসছিলো। ৪ জুন রাতে মন্জুরুলের বাড়ী থেকে গৃহবধু তানজিনার বাড়ীতে খবর পাঠায় তানজিনা ফাঁসিতে জুলে আত্মহত্যা করেছে। রাতেই পুলিশ ও তানজিনার বাড়ীর লোকজন গিয়ে মাটিতে মৃত অবস্থায় তানজিনেকে দেখতে পায় এবং তার মরদেহ উদ্ধার করে। এঘটনার পর থেকে মন্জুরুলসহ তার বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে তানজিলার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে, তানজিলাকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখে। পরিবারে পক্ষ থেকে ৭জনকে আসামী করে শেরপুর সদর থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার শহরের দিঘারপাড় থেকে গৃহকর্তার ঘরে গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে সেটা হত্যা না আত্মহত্যা।