খবর৭১ঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়ে সর্বক্ষণ খোঁজখবর রাখছেন। দুর্যোগ পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে ৩ লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাতের মধ্যেই সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রেও চলে আসার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে।
আম্ফান বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। তখন এর শক্তি কিছুটা কমলেও বিপুল ধ্বংস ঘটানোর সামর্থ্য রাখে এ ঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর বিক্ষুব্ধ থাকায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সুপার সাইক্লোন আম্ফান মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মোংলা সমুদ্রবন্দর ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে; এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ইতিমধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঘূণিঝড় আম্ফানের প্রভাব শুরু হয়েছে। সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, বরিশালসহ বেশকিছু জায়গায় সৃষ্ট ঘূণিঝড়ের কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসময় দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।