খবর৭১ঃ
করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ক্রয় ও সাজসজ্জা আপাতত বন্ধ রাখা, গাড়ি ব্যবহার, যাতায়াতসহ পরিচালন ব্যয় কমাতে ৯টি নির্দেশনা দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়। বার্ষিক সাধারণ সভাসহ যে কোনো সভার জন্য ভেন্যু ভাড়া না করে সম্মেলন কক্ষেই আয়োজন করতে বলা হয়েছে। গত রোববার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
পরিচালন ব্যয় কমানোর এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অস্থাবর সম্পদ কেনা, অফিস স্পেস ভাড়া, সাজসজ্জা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হবে। গাড়ি ব্যবহার, পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। বার্ষিক সাধারণ সভা, পরিচালনা পর্ষদসহ অন্যান্য সভার জন্য ভেন্যু ভাড়া না করে ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষেই করতে হবে। ডাইরি, ক্যালেন্ডার মুদ্রণ ও জাতীয় প্রচারণামূলক ব্যয়ে বরাদ্দ সীমিত করতে হবে। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও নির্বাহীরা অনাব্যশ বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে না। ভ্রমণ ও যাতায়াত ভাড়, আপ্যায়ন খরচ, স্টেশনারি উন্নয়ন তহবিলে মিতব্যয়ী হতে হবে। ক্রান্তিকালীন সময়ে সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করতে হবে। তবে ব্যাংকের ফ্রন্টলাইনে যারা কাজ করেন তাদের যাতায়াত সুবিধা বাড়াতে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ সঙ্কট মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অধিকতর তারল্য প্রবাহ বাড়িয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি। এর প্রস্তুতি হিসেবে অনাবশ্যক পরিচালন ব্যয় কমাতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হলো।
অন্যদিকে, সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রস্তুতি ও সম্ভাব্য ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপণ এবং প্যাকেজ বাস্তবায়নে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা নিরসনে সুপারিশ প্রণয়ন বিষয়ে এক ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ মে দুপুর সাড়ে ১২টায়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এমডিরা অংশ নেবেন।