দেশে করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যেই অর্থনৈতিক ক্ষতি কিছুটা পোষাতে রাজধানীর বেশকিছু পোশাক কারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। তবে এসব কারখানায় ঢাকা ও আশপাশে অবস্থান করা শ্রমিকদের দিয়ে চলবে; বাইরে থেকে কোনো শ্রমিক আসবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বিজিএমই-বিকেএমইএর কর্মকর্তা এবং বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এই কথা জানান।
বৈঠকে বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সভাপতি রুবানা হক। আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার বাইরে থাকা শ্রমিকদের এখনই ঢাকায় আসতে হবে না। শুধু যারা ঢাকা আছেন, তারাই কাজে যোগ দেবেন। তাদের দিয়েই কারখানা চালু করা হচ্ছে।’
৯৭ শতাংশেরও বেশি কারখানায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে ৯৭ শতাংশেরও বেশি কারখানা তাদের বেতন পরিশোধ করেছে। বাকিদেরও দেয়া হবে। আর যারা ঢাকার বাইরে আছেন, তাদের আপাতত ঢাকায় আসার দরকার নেই। সব কারখানা খুললে অপরা ঢাকায় আসবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করেই শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করাতে হবে। একই সঙ্গে সুরক্ষা নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। মূলত জরুরি কিছু অর্ডার থাকায় সীমিত পরিসরে কারখানাগুলো খোলা হয়েছে।’
এদিকে ঢাকার বাইরে থেকে শ্রমিকরা আসবে না জানানো হলেও ঢাকামুখি পোশাক শ্রমিকদের ঢল নেমেছে। মঙ্গলবার দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে শ্রমিকদের আসতে দেখ যায়।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখনো মারাত্মক পর্যায়েই রয়েছে। মঙ্গলবার একদিনে সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের মধ্যে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা মোট ১৫৫ জনের প্রাণ কেড়ে নিলো। আক্রান্ত হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ৫৪৯ জন। ফলে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ছয় হাজার ৪৬২। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও আটজন, এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩৯-এ।