খবর৭১ঃ করোনাভাইরাস-আতঙ্ক বিরাজ করছে দেশের শেয়ারবাজারে। গতকাল রোববার বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে-আর এ খবরে আজ সোমবার লেনদেনের শুরু থেকে এক টানা পতন লক্ষ করা যাচ্ছে শেয়ারবাজারের সূচকে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) (https://www.dsebd.org/) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রথম ৬ মিনিটের লেনদেনে হারায় ১০০ পয়েন্ট। বেলা ১১টায় সূচকটি দেড় শ পয়েন্ট হারায়। ১১টা ১৬ মিনিটে উধাও হয় ২০০ পয়েন্ট। পরে পতন কিছুটা কমে আসে। দুপুর ১২টা নাগাদ সূচকটি দর হারিয়েছে ১৬৬ পয়েন্ট।
বাজারের এ পরিস্থিতির কারণে জানতে চাইলে বিনিয়োগকারীরা বলছেন, এমনিতেই বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংবেদনশীল। এর মধ্যে করোনাভাইরাস আতঙ্কে আজ দর পতনের গতি বেশি দেখা যাচ্ছে। আতঙ্কিত হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘আজ ২ সপ্তাহ ধরেই সূচক কমছে। উন্নতির কোনো লক্ষণ দেখছি না। বাজারে কোনো স্থিতিশীলতা নেই। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। বাজারে আজকে বিক্রির চাপ অনেক। ক্রেতা নেই। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরাও বুঝছেন না কি করবেন।’
এই বিনিয়োগকারী আরও জানান, ২০১৫ সালে অবসরের পর ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা শুরু করেন তিনি। এখন তাঁর শেয়ারের দর কমে কমে ঠেকেছে ৭ লাখে। আজ ৭ লাখে সব শেয়ার বিক্রি করেছেন তিনি। এ পরিস্থিতি কাউকে বোঝানোর অবস্থাও নেই তাঁর।
সাইফুল ইসলাম নামে আরেক বিনিয়োগকারী বলেন, ‘টানা নবম দিনের মতো দর কমেছে। আজ বাজারে প্যানিক সেল হচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। দর যত কমছে সেল প্রেশার বাড়ছে। সবাই মার্জিনে ব্যবসা করে, লোকসান চায় না। দাম কমতে থাকলেই বিক্রি করে দেয়।’
ডিএসইতে আজ প্রথম দেড় ঘণ্টায় দর কমেছে হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৩২৮ টির দর, বেড়েছে মাত্র ১৫ টির, অপরিবর্তিত আছে ৯ টির দর। লেনদেন হয়েছে ২৪২ কোটি ৮৭ লাখ টাকার।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই প্রথম দেড় ঘণ্টার লেনদেনে কমেছে ৩৯১ পয়েন্ট। বেলা ১২টা নাগাদ হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১৮২ টির দর কমেছে, বেড়েছে ৮ টির, অপরিবর্তিত আছে ১ টির দর। এ সময় পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার।