পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের বাধঘাট এলাকায় খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে খালের প্রশস্ততা সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি পানির প্রবাহ বিঘ্নিত হয়ে বর্ষা মৌসুমে এ অঞ্চলের কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে বলে এলাকার লোকজন আশঙ্কা করছেন।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় শত বছরের পুরোনো এ খালটি পায়রা নদী থেকে উত্পন্ন হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে এ খালের পানি থেকে কৃষকেরা জমিতে সেচও দেন। খালটি উপজেলার কাকড়াবুনিয়া বাজার থেকে গাজীপুরা পর্যন্ত প্রায় সাত কি.মি লম্বা। বর্তমানে খালটির বিভিন্ন স্থানে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে সেচ কাজের জন্য তেমন একটা ব্যবহার করতে পারছেন না কৃষকরা। প্রভাবশালীদের নির্মাণাধীন ওই সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে চাষিদের ফসল উৎপাদন মারাত্মক হুমকিতে পড়বে বলে জানান স্থানীয়রা।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের বাধঘাট এলাকায় মৃত্যু এলেম উদ্দিন মেলকার এর ছেলে খলিলুর রহমান মেলকার কালভার্ট সংলগ্ন খালটির ভেতরের দিকে প্রায় ১০ ফুট পর্যন্ত কংক্রিটের ৬টি পিলার নির্মাণ করেছে। বহুতল ভবন নির্মাণের ফাউন্ডেশন ঢালাই দিয়ে পিলারের এর উপরে ফ্লোরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং পিলারগুলোর ওপরে বাড়তি রডও রাখা হয়েছে। ওই স্থানে পাকা দোকানঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব স্থাপনা নির্মাণের জন্য খালের প্রায় ১ শতাংশ জায়গা দখল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মোঃ খলিল মেলকারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, স্থাপনা নির্মাণের জন্য কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি। খালের মধ্যে আমাদের নিজেদের জমি রয়েছে। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসে কাজ বন্ধের নির্দেশ প্রদান করে।
উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। উপজেলা সার্ভেয়ারকে জমি পরিমাপ করে খালের ভিতরে যদি স্থাপনা নির্মান করা হয় তা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।