খবর৭১ঃ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আবারও খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, দণ্ডিত ব্যক্তি আর সাধারণ মানুষ একই সুবিধা পান না। বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্ভব।
তার সম্মতি পেলে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করতে হবে। মেডিকেল বোর্ড প্রয়ােজনে এই বোর্ডে আরও চিকিৎসক অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অসুস্থতার কারণে ১৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জামিনের আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ২৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনের ওপরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ওই দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্যকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টার মধ্যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। সেই অনুযায়ী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল হয়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসা (অ্যাডভান্সড ট্রিটমেন্ট) নিতে সম্মতি দেননি। সেখানে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা নিতে সম্মত হননি।
এর আগে গত বছরের ৩১ জুলাই এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নাকচ করেন হাইকোর্ট। শারীরিক অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য ওই আবেদন করা হয়েছিলো। এরপর ১২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগও জামিনের আবেদন খারিজ করেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ডসহ ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫।
ওই বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডসহ জরিমানা করেন বিচারিক আদালত। ওই দিন থেকে তিনি কারাগারে। গত বছরের এপ্রিল থেকে তিনি বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।