খবর৭১ঃ টানা চার ঘণ্টা বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএনপির স্থায়ী কমিটি। তাই শেষ পর্যন্ত বৈঠক মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার বিকেল ৪টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। আগামীকাল রবিবার পরবর্তী বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র নির্ধারণ করা হবে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলের সাংগঠনিক পরিস্থিতি, পরবর্তী কর্মসূচি, সরকারের কার্যক্রম পর্যালোচনা, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন এবং উন্নত চিকিৎসা, জাতীয় সংসদের দু’টি আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ বিভিন্ন ইস্যু এ বৈঠকে আলোচনা হবে।এদিকে হাইকোর্টে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানির দিকে নজর রাখবেন বিএনপি নেতারা। আদালত কী সিদ্ধান্ত দেয় তা জানার পর করণীয় নির্ধারণে আলোচনায় বসবেন তারা।
সভায় তারেক রহমান স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কাছে জামিনের শুনানির প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চান। মওদুদ আহমদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন, আইনজীবীদের যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনা করে তাকে জামিন দেবেন বলে আশা তাদের।
দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী কমিটির প্রভাবশালী একজন সদস্য জানান, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সব পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় জেলা-উপজেলা, নগর-মহানগর কমিটিগুলোকে পুনর্গঠন করে, যে সব জায়গায় এখনও কমিটি হয়নি, সেসব এলাকায় কমিটি গঠনের কাজ করা হবে। এরপর কাউন্সিলের প্রস্তুতি শুরু হবে। সারাদেশে কাউন্সিলর ঠিক করার পর দল গোছানোর বিষয়ে চূড়ান্ত নেবে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে, ঠিক কবে নাগাদ কাউন্সিলের প্রস্তুতি শুরু করা হবে, তা বলতে নারাজ এই নেতারা।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক বিষয় ও খালেদা জিয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নমিনেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বিষয় এখানে আলোচনা হয়েছে। কৌশল নির্ধারণ ও দল পুনর্গঠন করতে চাই, এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।তবে আরেক সদস্য জানান,দ্রুত কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের চিন্তা করা হচ্ছে।
ভিডিও কনফারেন্সে লন্ডন থেকে যুক্ত থেকে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকে খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমেদ, জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বৈঠকে ছিলেন না।