নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ যাচ্ছে বিএনপি

0
644
ঢাকা-১০ সহ তিন আসনে উপনির্বাচন ২১ মার্চ

খবর৭১ঃ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ ও ‘কারচুপির’ অভিযোগ এনে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ মামলা করবে বিএনপি। ভোটের সামগ্রিক ফলাফল বাতিলের দাবি জানিয়ে উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্র্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের ইশরাক হোসেন শিগগিরই ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে বিএনপি সমর্থিত একটি আইনজীবী প্যানেলও চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার ব্যাপারে দুই প্রার্থীকে তারা সার্বিক সহযোগিতা করছে। ইতিমধ্যে পরাজিত দুই প্রার্থী ভোট ‘কারচুপি’র প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছেন। নানা মাধ্যমে আরও তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছেন তারা। বিএনপির নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।

নির্বাচনী আইন অনুয়ায়ী ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে’ সংক্ষুব্ধ প্রার্থী বা তার মনোনীত ব্যক্তিকে আবেদন করতে হবে। ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম উত্তরে ও ফজলে নূর তাপস দক্ষিণের মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচন কমিশন মঙ্গলবার ভোটের গেজেট প্রকাশ করেছে।

এর ফলে ৩ মার্চের মধ্যে বিএনপির প্রার্থীদের ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে। বিধান অনুযায়ী, সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আবেদনের পর আদালত বিবাদী, সাক্ষীসহ সংশ্লিষ্টদের এ সংক্রান্ত নোটিশ পাঠাবেন। মামলার পর পরবর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করবেন। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি রায়ে খুশি না হলে ৩০ দিনের মধ্যে তিনি ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে’ যেতে পারবেন। নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল ১২০ দিনের মধ্যে আপিলটি নিষ্পত্তি করবেন।

নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত আপিল গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ঢাকার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, ১ম আদালতকে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ ও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা-সমন্বয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে। আপিল আদালতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চেয়ারম্যান এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।

দুই সিটির ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। দলটির পরাজিত দুই প্রার্থী তাবিথ ও ইশরাক বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিটি ভোটের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান। একই সঙ্গে ভোটের নানা ‘অনিয়ম ও কারচুপির’ তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরেন তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here